অ্যাম্বুলেন্স মালিকের প্রতারণায় মৃত্যু, প্রতিবাদ করায় ছেলেকে ছুরিকাঘাত

অ্যাম্বুলেন্স মালিকের প্রতারণায় মৃত্যু, প্রতিবাদ করায় ছেলেকে ছুরিকাঘাত

মৌলভীবাজারে অ্যাম্বুলেন্স মালিক সাদিক মিয়ার প্রতারণায় মুমূর্ষু এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদ করায় নিহতের ছেলেসহ তিনজনকে দলবদ্ধভাবে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন অ্যাম্বুলেন্সচালক, মালিক ও তাঁর সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- নিহতের ছেলে শিপু মিয়া, শাহজাহান ও ভাতিজা রাজু মিয়া।

নিহতের ছেলে শিপু মিয়া জানান, তাঁর বাবা কামাল উদ্দিনের মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রথমে তাঁকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সাদিক মিয়া অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন রয়েছে বলে তাঁর বাবাকে গাড়িতে তোলেন। তবে অক্সিজেন না থাকায় পাশের দোকানে সেটি আনতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তাঁর বাবা গাড়ির মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে পড়েন। তখন আবারও জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে অ্যাম্বুলেন্স মালিক সাদিক মিয়া, চালক খালেদ মিয়াসহ আরও চার-পাঁচজন সহযোগী তাঁদের মারধর করেন। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

অ্যাম্বুলেন্স মালিক সাদিক মিয়া জানান, অপিজেন সিলিন্ডার পেতে বিলম্ব হওয়ায় অপর একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার মধ্যেই রোগী মারা যান। তখন স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস ভাঙচুর করায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া করা হবে।