একইদিনে পালিত হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা

একইদিনে পালিত হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা

দেশে এ বছরও একইদিনে উদ্‌যাপিত হচ্ছে মুসলিমদের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্মীপূজা ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা।

রোববার (৯ অক্টোবর) এ বিশেষ দিনটিকে ঘিরে এ সকল ধর্মানুসারী ও ভক্তদের ভেতর কাজ করছে বিশেষ আনন্দ। ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের ভেতর উৎসবগুলো পালনের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও জোরদার হওয়ার আশা সবার।

বাংলাদেশ বহু সংস্কৃতির, বহু জাতির দেশ। এ দেশ সেই দেশ যেখানে ভোরে আজানের পাশাপাশি শঙ্খ বাজে, শোনা যায় গীতাপাঠ এবং ত্রিপিটক পাঠ। গত বছরের ২০ অক্টোবরও বাংলাদেশে একইদিনে উদ্‌যাপন করা হয়েছিল এই তিন ধর্মীয় উৎসব।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.): শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল।

সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে ১২ রবিউল আউয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণময় দিন। মুসলমান সম্প্রদায় দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।

সৌদি আরবের মক্কা নগরে বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।

লক্ষ্মীপূজা: হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজা। শারদীয় দুর্গা উৎসবের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মী উৎসব এই লক্ষ্মীপূজা।

লক্ষ্মী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে পূজিত হন। এ ছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে হিন্দু সম্প্রদায় লক্ষ্মীপূজা উদ্‌যাপন করে থাকে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটি কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত।

প্রবারণা পূর্ণিমা: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব। এটি ‘অশ্বিনী পূর্ণিমা’ নামেও

দেশে এ বছরও একইদিনে উদ্‌যাপিত হচ্ছে মুসলিমদের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্মীপূজা ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা।রোববার (৯ অক্টোবর) এ বিশেষ দিনটিকে ঘিরে এ সকল ধর্মানুসারী ও ভক্তদের ভেতর কাজ করছে বিশেষ আনন্দ। ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের ভেতর উৎসবগুলো পালনের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও জোরদার হওয়ার আশা সবার।বাংলাদেশ বহু সংস্কৃতির, বহু জাতির দেশ। এ দেশ সেই দেশ যেখানে ভোরে আজানের পাশাপাশি শঙ্খ বাজে, শোনা যায় গীতাপাঠ এবং ত্রিপিটক পাঠ। গত বছরের ২০ অক্টোবরও বাংলাদেশে একইদিনে উদ্‌যাপন করা হয়েছিল এই তিন ধর্মীয় উৎসব।ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.): শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল।

সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে ১২ রবিউল আউয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণময় দিন। মুসলমান সম্প্রদায় দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।

সৌদি আরবের মক্কা নগরে বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।লক্ষ্মীপূজা: হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজা। শারদীয় দুর্গা উৎসবের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মী উৎসব এই লক্ষ্মীপূজা।

লক্ষ্মী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে পূজিত হন। এ ছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে হিন্দু সম্প্রদায় লক্ষ্মীপূজা উদ্‌যাপন করে থাকে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটি কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত।প্রবারণা পূর্ণিমা: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব। এটি ‘অশ্বিনী পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।

বৌদ্ধদের মতে, এই পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন। একই দিনে তার তিন মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে।

পরিচিত।

বৌদ্ধদের মতে, এই পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন। একই দিনে তার তিন মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে।