পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আন্দোলনে পরিবহন শ্রমিকরা

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আন্দোলনে পরিবহন শ্রমিকরা

নয় দিনের মাথায় সিলেটে ফের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এবার কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।

সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম, সিএনজি অপটোরিকশা ম্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ, হিউম্যান হুলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল মিয়া মইনসহ চার শ্রমিক নেতার নাম উল্লেখ করে ২০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এবারের আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহন বন্ধ রেখে সিলেট নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

ফলে সন্ধ্যা থেকে দূরপাল্লার বাসসহ সিলেটে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। আচমকা এমন কর্মসূতে দুর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। অনেকেই বাসের কাউন্টারগুলোতে এসে বসে আছেন।

রাত ৮টায় নগরের উপশরহর, শাহী ঊদগাহ, বালুচর, টিলাগড়, হুমায়ন রশীদ চত্বরসহ বিভিন্ন মোড়ে পরিবহন শ্রমিকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। সড়কে টায়ার পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন তারা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরণের যান চলাচল।

শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন লেগুনা শ্রমিক মো. শাহাব উদ্দিন। মামলায় মারপিট ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

এই মামলার জেরেই আজ সন্ধ্যা থেকে আন্দোলনে নামেন পরিবহন শ্রমিকরা।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবহন শ্রমিকদের দুটু গ্রুপ রয়েছে। দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের ৮ দিন পর আন্দোলনে নামা প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি আমরা আজকেই জানতে পেরেছি। আজকে আমাদের কয়েকজন শ্রমিক পুলিশ কমিশনারের সাথে এ ব্যাপারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি তাদের সা্থে দুর্ব্যবহার করেছেন।

মইনুল বলেছেন, যিনি আমাদের নামে মামলা করেছেন তাকে আগেই শ্রমিক সমিতি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এই কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আমাদের নামে চাদাবাজি ছিনতাইয়ের অভিযোগে মিথ্যে মামলা করেন। পুলিশও কোন তদন্ত ছাড়াই মামলাটি গ্রহণ করেন।