সংগঠনের কেউ না?

সংগঠনের কেউ না?
আহমদ ইমরান, লেখক

যখনই কোন সংগঠনের কোন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন, মামলার আসামি হন, ধর্ষণকাণ্ডসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তখনই সংগঠন থেকে জানানো হয়- সে আমাদের সংগঠনের কেউ না। পদ-পদবী থাকলে বলা হয় অনুপ্রবেশকারী কিংবা জামাত-শিবিরের লোকজন। 

এই কয়েক কথায় দ্বায় সেরে ফেলেন সংগঠনের পদ-পদবীতে থাকা নেতারা। অথচ হাজারো কর্মীদের মধ্যে থেকে পদ পান মাত্র কয়েকজন। এসব কর্মীদের শ্রমে-ঘামে তৈরি হয় নেতা। আর নেতা হয়েই তাঁরা কর্মীদের দুরে সরিয়ে দেন। কাছে টেনে নেন নিজের পছন্দের লোকজনদের। এতে তৈরি হয় নিজস্ব বলয়।

এতে সংগঠনের কর্মীদের বড় একটি অংশ মুলস্রোত থেকে পিছিয়ে পড়েন। হতাশ হন। বিপরীতে দাপটের সাথে এগিয়ে যান নিজস্ব বলয়ের লোকজন। তবে যখনই আন্দোলন করতে হয়, সংগঠন সংকটে পরে তখনই ফের কর্মীরা এগিয়ে যান। লাঞ্চনা-বঞ্চনার কথা ভুলে ফের স্লোগান দেন। এভাবেই সংগঠন ঠিকে থাকে, ঠিকে আছে।

অথচ এসব কর্মীদের গণহারে অস্বীকার করার সংস্কৃতি বাড়ছে। অপরাধ করলেই অস্বীকার না করে বলা যেতে পারে, পারতো- 'সারাদেশে কিংবা জেলা-মহানগর শাখার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীদের নিয়ে আমাদের পরিবার। এখান থেকে দুয়েকজন আদর্শ বিচ্যুত হতে পারে, হয়ও। সেজন্য যখনই অভিযোগ উঠে তখনই সংগঠন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয় (অস্বীকার করে নয়), ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহীনি। এতে সংগঠন থেকে প্রশাসনকে সহযোগিতাও করা হয়। যাতে মূল অপরাধী পর্যন্ত পৌঁছা যায়। শাস্তি হয় অপরাধীর।'

বিষয়টা ভেবে দেখুন, শ্রম-ঘামের মূল্য দিন। পদ-পদবী না দিন, অন্ততপক্ষে স্বীকৃতি দিন।

লেখক
সাংবাদিক ও  শিক্ষানবিশ আইনজীবী