‘বন্যার মধ্যে ডাকাতির গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের তালিকা হচ্ছে’

‘বন্যার মধ্যে ডাকাতির গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের তালিকা হচ্ছে’

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে গভীর রাতে ডাকাতির গুজব রটনাকারীদের তালিকা তৈরি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবর রহমান রবিবার এ কথা জানান।

ডিসি বলেন, গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। যারা গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছিল, তাদের তালিকা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত শনিবার রাতে সিলেটে নগরসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ডাকাত দলের হানা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে মাইকিং করা হয়। এতে গভীর রাতে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে এর কোনো সত্যতা পায়নি বলে দাবি করেছে।

এদিকে, নগরের বাগবাড়ি এলাকার সুরঞ্জিত বর্মণ নামের এক ব্যক্তি সিলেট কোতোয়ালি থানার লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ ফজলের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ওইদিন রাত একটার দিকে মসজিদের মাইকে ডাকাতির মাইকিং শুনে তার পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে ওঠেন। একপর্যায়ে তাঁর ভবনের চতুর্থ তলার বাসিন্দার একটি মোবাইল নম্বর থেকে তাঁর স্ত্রীকে দ্বিতীয় তলায় ডাকাত দল হানা দিয়েছে বলে জানানো হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে তাঁর স্ত্রী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। পরে, একদল পুলিশ উপস্থিত হয়ে ডাকাত দল না পেয়ে তাঁকে গালিগালাজ করে টি-শার্ট ধরে টানাটানি করে। তাঁর স্ত্রী জলি রানী পাল বাধা দিলে তাঁকেও লাঞ্ছিত করা হয়।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, পুলিশ ডাকাতির আতঙ্ক ছড়িয়ে গুজব রটনাকারীদের তথ্য খুঁজে বের করছে। পুলিশ তদন্ত করে গুজবকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। লামাবাজার ফাঁড়ির এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে কল করে অহেতুক গুজব রটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।