ক্রমেই কেন্দ্রে কমছে সিলেট আ. লীগ নেতাদের অবস্থান

ক্রমেই কেন্দ্রে কমছে সিলেট আ. লীগ নেতাদের অবস্থান

ক্রমেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অবস্থান কমছে সিলেটের নেতাদের। অতীতে আবদুস সামাদ আজাদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, দেওয়ান ফরিদ গাজী ও হুমায়ূন রশিদ চৌধুরীর মতো প্রভাবশালী নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রে। এখন আর সেই অবস্থান নেই!

সদ্য ঘোষিত আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিলেট বিভাগের মাত্র দুই নেতা ও এক নেত্রীর স্থান হয়েছে। প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দা জেবুন্নেছা হক। পুনরায় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আর আগের কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের ঠাঁই হয়েছে এবার উপদেষ্টা পরিষদে।

সদ্য বিদায়ী কমিটিতে সিলেট বিভাগ থেকে স্থান পেয়েছিলেন আটজন। এর মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন- বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও আজিজুস সামাদ ডন। উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন- আবুল মাল আবদুল মুহিত, সৈয়দ আবু নসর ও ইনাম আহমেদ চৌধুরী। এর মধ্যে দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যান বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সৈয়দ আবু নসর। শনিবার ঘোষিত কমিটিতে স্বপদে বহাল থেকেছেন নাদেল। আর প্রেসিডিয়ামে নতুন করে জায়গায় পেয়েছেন সৈয়দা জেবুন্নেছা হক। আর এ পদ থেকে বাদ পড়ে উপদেষ্টা হিসেবে ঠাঁই হয়েছে নাহিদের। এখন পর্যন্ত কমিটিতে দুই নেতা ও এক নেত্রী প্রতিনিধিত্ব করছেন সিলেট বিভাগের।

সূত্র জানিয়েছে, আগের কমিটিগুলোতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে সিলেট বিভাগ  থেকে একজন নেতার প্রতিনিধিত্ব থাকত। এবার নুরুল ইসলাম নাহিদ বাদ পড়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হলেন জেবুন্নেছা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটিতে সব সময় সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে চারজন নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হতো। উপদেষ্টা পরিষদে গেলবার স্থান পাওয়া তিন সদস্যের মধ্যে মারা গেছেন দুজন। জীবিত থাকা একমাত্র সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরীরও এখনো জায়গা হয়নি স্বপদে।

তবে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এখনো হাতে থাকা ৩২ শূন্য পদের মধ্যে সিলেট বিভাগের আরও এক-দুজনের স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই শূন্য পদেই ঝুলে আছে ইনাম আহমদ চৌধুরী, ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও আজিজুস সামাদ ডনের ভাগ্য।  দলীয় সূত্র জানায়, এবার সিলেট বিভাগ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে আরও একাধিক নেতা স্থান পেতে পারেন। কেন্দ্রীয় সদস্য পদেও পুরনোদের স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নতুন নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতার কন্যা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সততার সঙ্গে সেটা পালনের চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয়বার আমার ওপর আস্থা রাখায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি মনে করি এখন থেকে আমার দায়িত্ব ও কাজের পরিধি বেড়ে গেছে। নিজের সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ দিয়ে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।’

কমিটিতে সিলেট বিভাগের আরও কয়েকজন নেতা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।