'সরকার গঠনের আসনে' নৌকার মাঝি পররাষ্ট্রমন্ত্রী না মিসবাহ-জাকির?

'সরকার গঠনের আসনে' নৌকার মাঝি পররাষ্ট্রমন্ত্রী না মিসবাহ-জাকির?

সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের আসনে এবার নৌকার প্রার্থী হতে চান অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও মো. জাকির হোসেন। মিসবাহ আওয়ামী লীগের সাবেক তিনবারের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাকির সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। তারা দুজনই গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। আর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ২০১৮ সালেও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

আজ সোমবার সকালে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং জাকির হোসেনের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন। 

একইভাবে গতকাল রোববার মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সিলেট-৩ আসনের জন্যও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।  

জাতীয় সংসদের ২২৯ আসনটিতে (সিলেট-১) ২০১৮ সাল থেকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এর আগে তার বড় ভাই আবুল মাল আবদুল মুহিত দুই মেয়াদে এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

গতকাল রোববার ড. মোমেনও নিজ আসনে নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। নিজের মনোনয়নের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। এবার আবারও নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসব ইনশাআল্লাহ। জনগণ আওয়ামী লীগের পাশে আছে।’

সিলেট বিভাগের আসনগুলোর মনোনয়ন ফরম বিক্রির দায়িত্বে থাকা শামসুল কবীর রাহাত আজকের পত্রিকাকে সিলেট-১ আসনে এই তিনজনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এর বাইরে আর কেউ ফরম কেনেননি বলেও জানান রাহাত। 

সিলেট-১ এবং ৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করেছি। বহু হামলা-মামলা, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোশতাককে গণপিটুনি দিয়ে ১৭ মাস কারাবরণ করেছি। দুর্দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিলাম, আমৃত্যু থাকবো। আশা করি দলীয় প্রধান দীর্ঘ রাজনৈতিক ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন।’ 

এ ছাড়াও দলের সকল স্তরের নেতা কর্মী ও সিলেট-১ এবং ৩ আসনের জনগণের নিকট অতীতের ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় নেতা। 

আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‌‘মাঠ পর্যায়ের কর্মী থেকে রাজনীতির বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকে এ অবস্থানে এসেছি। ৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তথা মুজিব আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে সিলেটের রাজপথে অবিচল থেকে যে রাজনৈতিক কর্মযাত্রার শুরু করেছিলাম তা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অব্যাহত আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে যিনি নৌকা মার্কার প্রার্থী হবেন, নিকট অতীতের মত আমি তারই একজন কর্মী হিসেবে নৌকাকে বিজয়ী করতে সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করবো।’