অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা শেখ হাসিনার

অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা শেখ হাসিনার

আগামীতে একটি নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক সুষ্ঠু নির্বাচন হবে প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বর্তমান সরকারের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

সুষ্ঠু নির্বাচনে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।

নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বাংলাদেশে এ প্রথম একটি আইন পাস করা হয়েছে। সেই আইনের আওতায় সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

জনগণ ভোট না দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে দেবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণের শান্তিতে বিশ্বাসী, জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। যদি বিজয়ী না করে তাহলে আমরা জনগণের কাতারে চলে যাব। তবে যেখানেই থাকি আমরা জনগণের সেবা করে যাব।

সংবিধানবিরোধী কোনো ধারণাকে প্রশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না ও ইন্ধন যোগাবেন না।
 
সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমালের ও জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ক্ষমতালোভী একটি গোষ্ঠী অপতৎপরতা শুরু করেছে মন্তব্য করে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী, ক্ষমতালোভী, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী আর পরগাছা গোষ্ঠীর সরব তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদের লক্ষ্য ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা।