সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর

কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিলীন হবার শঙ্কায় সড়ক

কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিলীন হবার শঙ্কায় সড়ক

গোবিন্দ দেব, জগন্নাথপুর || সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পাকাকরণের কাজ চলমান অবস্থায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে গ্রামীণ সড়ক। এমন বাস্তবতায় কাজ শেষ হওয়ার আগেই গ্রামীণ সড়ক নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষা রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড় এলাকায় রয়েছে আলমপুর-রৌয়াইল সড়ক। এ সড়ক দিয়ে ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, আলমপুর, বালিশ্রী, রৌয়াইল, হরিনাকান্দি, মেঘারকান্দিসহ ১০ গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে আসছিলেন। গ্রামীণ ওই সড়কটিতে চলছিল পাকাকরণের কাজ। গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে সড়কটি। এরইমধ্যে সড়কের বালিশ্রী এলাকায় প্রায় ৫০০ মিটার জুড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কের নতুন কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কটি বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, স্থানীয় ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর তাণ্ডবে ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর যাতায়াতের প্রধান সড়ক, ঘর-বাড়ী, মসজিদ, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।

রানীগঞ্জের দক্ষিণ এলাকার নদী তীরবর্তী মানুষের যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে আলমপুর-রোয়াইল-বালিশ্রী সড়ক। বিগত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআইডি) বাস্তবায়নে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে আলমপুর-ভালিশ্রী-রৌয়াইল অংশের ৩ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিলেটের এমআই ইঞ্জিনিয়ার। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা। এরমধ্যে সড়কে ইটের খোয়া বিছিয়ে রোলার এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এমতাবস্থায় বালিশ্রী গ্রামের গুলজার মিয়ার বাড়ি সামনে দিয়ে যাওয়া সড়কটি কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে।

রৌয়াইল গ্রামের মাহবুব হোসেন মিঠু জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যখন নতুন সড়ক পাকাকরণের কাজ চলছিল, তখন ফের নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে সড়কটি।

বালিশ্রী গ্রামের আঙ্গুর মিয়া জানান, ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে সড়কটি নদীতে বিলীন যাবে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়বে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলেন- ‘আমি বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।’