চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মাহবুব আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চা শ্রমিকদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করার সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি আমরা।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ এলাকার উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ছাত্রীদের মধ্যে বাইসাইকেল ও শিক্ষা উপকরণ, মাধবপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ভাতার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা যেমন চা শ্রমিকদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন তেমনি চা শ্রমিকদের প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। নেত্রীর নির্দেশমতো সব সময় আমরা সেই দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাগানের শ্রমিকরা উপহারের স্বর্ণের বালা নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন। যেটা নেত্রীর জন্য অনেক সম্মানের এবং চা শ্রমিকদের জমানো পয়সা এবং ভালোবাসা প্রদান করায় এতবড় উপহার নেত্রী আর কোন দিন পাননি বলে নেত্রী সেদিন উল্লেখ করেছিলেন। যেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রশস্থকরণ সহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৭ কোটি মানুষ উপকারভোগী। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনা সরকার শাসক নয় সেবক হিসেবে কাজ করছে। চা শ্রমিক সহ গ্রামীণ জনপদ, দেশের প্রতিটি অঞ্চলের এ সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার মঞ্জুর আহসানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বেগ, কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পেয়ারা বেগম, উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. এরশাদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহেদ খান, সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদ বিন ইসলাম, যুবলীগ সভাপতি ফারুক পাঠান, চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ পারুল, এডভোকেট মুহিত মিয়া, শ্রীধাম দাশগুপ্ত প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি নৃ-গোষ্ঠীর নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি ২০০জনের মধ্যে ৪ লাখ ৮০ হাজার, মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি ১২০ জনের মধ্যে ৭ লাখ ২০ হাজার, উচ্চ মাধ্যমিক ৬০ জনের মধ্যে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ও নৃ-গোষ্ঠী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৫০টি বাইসাইকেল বিতরণ করেন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ও আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।