জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: আ. লীগের ১২ নেতার দৌড়ঝাঁপ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঢাকায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
বুধবার (১২ এপ্রিল) মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলীয় ফরম সংগ্রহ ও জমার শেষ দিন ছিল। শেষ দিনে ওই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ১২ জন নেতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
যাঁরা ফরম জমা দিয়েছেন তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান, উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমেদ, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন, উপজেলা আওয়ামী নেতা নুরুল ইসলাম, সিরাজুল হক, হারুন রাশীদ, মিন্টু রঞ্জন ধর, মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা সাবিনা সুলতানা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হরমুজ আলী ও যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ।
আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা–কর্মীরা জানান, সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে তৃণমূল থেকে নাম পাঠানো নিয়ে এবার জটিলতা দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার দিন ঠিক করা হয়। সর্বশেষ সময়ে ১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় ফরম জমা দেন। এখন দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় দলীয় ফরম দাখিল করেছি। আশা করছি দলীয় মনোনয়ন বোর্ড আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করবে।’
সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমেদ বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে ফরম সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আমরা খুশি। আগে তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর নামে দলীয় মনোনয়ন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি থাকত। আশা করছি তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণে মনোনয়ন বোর্ড দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত বলেন, ‘জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন, জেলা ও উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা তৃণমূলের জনপ্রিয় প্রার্থীর নাম পাঠাবেন। তারপর কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৩০ এপ্রিল যাচাই–বাছাই, ৮ মে প্রত্যাহার, ৯ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ২৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।