তলিয়ে গেলো হাওরের আরও ১০০ হেক্টর জমির ধান

তলিয়ে গেলো হাওরের আরও ১০০ হেক্টর জমির ধান

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় নতুন করে আরও দুটি হাওরের প্রায় একশ’ হেক্টর বোরো ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে তিন দিনে তলিয়ে গেছে পাঁচ হাওরের দুই শতাধিক হেক্টর বোরো জমির আধাপাকা ধান।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলার এক নম্বর লাখাই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর ও সন্তোষপুরে পানি প্রবেশ করে।

এর আগে গত দুই দিনে ইউনিয়নটির শিবপুর, সুজনপুর ও বারচর হাওরের শতাধিক হেক্টর জমির আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গত শনি ও রবিবার কালনী এবং মেঘনা নদীতে আসা জোয়ারের পানিতে লাখাই ইউনিয়নের শিবপুর, সুজনপুর ও বারচর হাওরের প্রায় ৭৫ হেক্টর জমি তলিয়ে যায়। সোমবার কৃষ্ণপুর ও সন্তোষপুরের হাওরে নতুন করে আরও শতাধিক হেক্টর জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। জমির ধান আধাপাকা হওয়ায় কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা ধান পেকে যাওয়ার আগেই কেটে ঘরে তোলা শুরু করেছেন।

এক নম্বর লাখাই ইউনিয়নে অবস্থিত মেঘনা ও কালনী নদী সরাসরি হাওরের সঙ্গে যুক্ত। ফসল রক্ষা বাঁধ না থাকায় নদীর পানি হাওরে ঢুকছে। এতে ইউনিয়নটির শিবপুর, সুজনপুর ও বারচর হাওরের শতাধিক হেক্টর জমির আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

লাখাইয়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্য বলেন, আর যদি পাহাড়ি ঢল না নামে তাহলে জমিগুলো রক্ষা পাবে। কিন্তু এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে হাওরগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরকারি সহযোগিতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।

লাখাইয়ে এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু লাখাই ইউনিয়নে হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ হেক্টরে। কিছু জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান প্রায় ৬০ শতাংশ পেকেছে। তবে বেশির ভাগ জমির ধান অর্ধেকও পাকেনি।