দুর্গোৎসবের আগে বকেয়া মজুরি চান চা-শ্রমিকরা

দুর্গোৎসবের আগে বকেয়া মজুরি চান চা-শ্রমিকরা

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার আগে বকেয়া মজুরি এবং পূর্ণ উৎসব বোনাস প্রদানের দাবি জানিয়েছেন চা-শ্রমিকরা। চা-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সংবাদকর্মীদের কাছে এ দাবির কথা জানান চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, দুর্গাপূজার আগে বকেয়া মজুরি এবং পূর্ণ উৎসব বোনাস প্রদান না করলে চা-শ্রমিকরা অতীতের মতো দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলন সংগ্রামের পথে অগ্রসর হতে বাধ্য হবেন।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক সংঘের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাজদেও কৈরী বলেন, আগস্ট মাসে দীর্ঘ ১৯ দিনের লাগাতার কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ, রাজপথ-রেলপথ অবরোধের মতো কঠিন সংগ্রামের পর গত ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০২১-২০২২ অর্থবছর মেয়াদের জন্য মজুরি ১৭০ টাকা হিসেবে বর্ধিত ৫০ টাকার (১৭০ থেকে ১২০ টাকা) গত ২০ মাসের এরিয়ার জনপ্রতি প্রায় ৩০ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা।

তিনি বলেন, চা-শ্রমিকরা যখন অধীর অপেক্ষায় বকেয়া মজুরির এরিয়ার এবং পূর্ণ উৎসব বোনাস পাওয়ার আশায় আছেন, তখন ১৬ সেপ্টেম্বর চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা-সংসদের পক্ষ থেকে এক পত্র দিয়ে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি থেকে বঞ্চিত করা ও উৎসাহ বোনাসকে উৎসব বোনাস হিসেবে চালিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।

সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্যামল অলমিক বলেন, বরাবরের মতো মালিকদের স্বার্থরক্ষায় সহযোগিতার ভূমিকার পালন করছেন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এমন কি আগামী জানুয়ারিতে যাতে চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি না করে মালিক পক্ষ পার পেয়ে যায়, তারও দুরভিসন্ধি চলছে। আমরা চা-শ্রমিক সংঘ আসন্ন দুর্গাপূজার আগে সকল শ্রমিকের বকেয়া মজুরি এবং পূর্ণ উৎসব বোনাস প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় চা-শ্রমিকরা বকেয়া মজুরি, আইনসম্মত উৎসব বোনাস এবং ন্যায্য মজুরির দাবিতে আবারও আন্দোলন সংগ্রাম পথে অগ্রসর হতে বাধ্য হবেন।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক সবুজ গৌড় বলেন, যেহেতু সামনে চাবাগানের জনগোষ্ঠীর বৃহৎ একটি উৎসব আসছে, এই মুহূর্তে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বকেয়াসহ যেসব দাবি আছে সেগুলো পূরণ করা উচিত।‌