সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা

নদীর পানি সামান্য বাড়লেই প্লাবিত হয় যে গ্রাম!

নদীর পানি সামান্য বাড়লেই প্লাবিত হয় যে গ্রাম!

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ১ নং লামাকাজী ইউনিয়নের লামাকাজী থেকে আকিলপুর সড়ক বন্যার পানি স্রোতে ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। উঁচু এই সড়ক নদীর তীরবর্তী হওয়ায় মানুষ ও যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি  বন্যা থেকে গ্রাম রক্ষা বাঁধ হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু চলমান ভয়াবহ বন্যার পানির স্রোতে রাস্তাটি বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পেলেই প্লাবিত হয়ে যায় গ্রাম। এতে কষ্টের শেষ নেই এলাকাবাসীর। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লামাকাজী থেকে আকিলপুর যাতায়াতের মধ্যস্থানরা রাজাপুর গ্রামের অংশে বন্যার পানির স্রোতে সড়কটি বিলীন  হয়ে গেছে। যে রাস্তা দিয়ে বড় গাড়িসহ নিয়মিত সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতো অথচ সেখানে আজ রাস্তার উপরে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি মানুষ যাতায়াত করছে। 

কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন নৌকায় । রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা এবং এখানকার গ্রাম গুলোকে বন্যা থেকে রক্ষার দাবি জানান স্থানীয়রা। রাস্তাটি নিয়ে এলাকার অনেক বাসিন্দা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন অত্র এলাকায় বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠীর বসবাস অথচ এখন পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি এসে একটি বার পরির্দশনও করেননি।

স্থানীয় সাংসদ মোকাব্বির খান জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তিনি বলেন, সকলেই দেখেছে সংসদে আমি আমার নির্বাচনী এলাকার ১৬টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের দুর্দশা নিয়ে কথা বলেছি এবং রাস্তাঘাট নিয়ে সংসদে আমি সবচেয়ে বেশি কথা বলি। 

একজন এমপি হিসেবে আমার অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে ১৬টি ইউনিয়নের সব খুঁজ খবর নেওয়া আমার পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না। তিনি লামাকাজী ইউপি চেয়ারম্যানকে উদাসীন উল্লেখ করে বলেন, প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ তাদের ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের বিষয়ে আমাকে অবগত করেছেন কিন্তু লামাকাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার এলাকার কোনো বিষয়ে আমাকে অবগত করেননি।

তিনি আরও বলেন, লামাকাজীর পাশ্ববর্তী খাজাঞ্চী ইউপি চেয়ারম্যান তার যেসকল রাস্তার বিষয়ে অবগত করেছেন আমি প্রধান প্রকৌশলী সাথে কথা বলেছি সেসব বিষয়ে। তিনি এই বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। 

লামাকাজী ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া ক্ষোভ ঝাড়লেন স্থানীয় সাংসদ মুকাব্বির খানের বিরুদ্ধে। এখন বাঁধ নির্মাণের সময় নয় তাই সাঁকো তৈরি হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীকে এবিষয়ে অবগত করেছি তারা ব্যবস্থা নিবেন।