পর্যটক রাখার অনুমতি না পেলেও খুললো বান্দরবানের হোটেল-মোটেল

পর্যটক রাখার অনুমতি না পেলেও খুললো বান্দরবানের হোটেল-মোটেল

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা বান্দরবান। এখানে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। এই জেলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের নানা প্রান্তের ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসেন এখানে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর প্রশাসনের অনুমতিক্রমে হোটেল-মোটেল আর রিসোর্টগুলো আবার চালু হচ্ছে। জানা যায়, বুধবার (৩ জুন) সকাল থেকে বান্দরবানের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট খোলা যাবে। কিন্তু কোনো পর্যটক বা অতিথিকে হোটেলে রাখা যাবে না।

শুধুমাত্র হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা, হাইজিন দিয়ে ওয়াশ করা এবং মেরামত ও সংস্কার কাজ পরিচালনা করা যাবে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্ট হাউজ ও গেস্ট হাউজগুলো সীমিত আকারে ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আপাতত হোটেল-মোটেল খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার অনুমতি দিয়েছি। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে হোটেল-মোটেল চালু হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর বিবেচনা করে বান্দরবানের আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্টহাউজ ও গেস্ট হাউজগুলো সীমিত আকারে ব্যবসা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। পরিচ্ছতার কাজ করছে বান্দরবানের হোটেল-মোটেলগুলোতে। ছবি: বাংলানিউজ এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্ট হাউজ ও গেস্ট হাউজগুলো চালু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর হোটেল কর্তৃপক্ষ নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছে। হোটেল-মোটেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি নতুন আঙ্গিকে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। বান্দরবান সদরের হোটেল হিলভিউ আবাসিকের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার তৌহিদ পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, করোনা সংক্রামক প্রতিরোধে গত ১৮ মার্চ থেকে বান্দরবানের সব আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস বন্ধ করে দেয় বান্দরবানের জেলা প্রশাসন।

আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি। দীর্ঘ দুই মাস পর প্রশাসন আমাদের হোটেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, হাইজিন দিয়ে ওয়াশ করা এবং মেরামত ও সংস্কার কাজ পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়ায় আজ থেকে আমরা হোটেল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। হোটেল হিলভিউ’র ম্যানেজার দীপক কান্তি দে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হোটেল ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়ে গেলাম। অনেকদিন হোটেল বন্ধ থাকায় আমাদের হোটেলে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। তারপরেও যদি সহসাই প্রশাসন খোলার অনুমতি দেয় তবেই আমরা পর্যটক পাবো বলে আশাকরি। পরিচ্ছতার কাজ করছে বান্দরবানের হোটেল-মোটেলগুলোতে। ছবি: বাংলানিউজ বান্দরবান আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বান্দরবান জেলায় ৬০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে আর পর্যটকবাহী যান রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক। এই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন থেকে হোটেল-মোটেল আর রিসোর্টগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দুই মাস পরে আবার খোলার অনুমতি আসছে জেনে মনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। আশাকরি সামনের দিনগুলোতে বান্দরবানে পর্যটক আগমন ঘটবে এবং আমরা আবার ব্যবসা চালু করতে পারবো। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১৮ মার্চ থেকে বান্দরবানের সব হোটেল-মোটেল ও রেস্ট হাউস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন, আর দীর্ঘ এই বন্ধে পর্যটকশুন্য হয়ে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।