জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন

পাল্টে গেলো সকল হিসেব-নিকেশ, অনেক এগিয়ে নৌকার প্রার্থী

পাল্টে গেলো সকল হিসেব-নিকেশ, অনেক এগিয়ে নৌকার প্রার্থী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম।

রাত পুহালেই ভোট। আজ (২৫ মে) বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ এখন ভোটের পালা। সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের প্রথম দিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলামের সঙ্গে অনেকটা পাল্লা দিয়ে আলোচনার ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী  সৈয়দ তালহা আলম ও জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের মনোনীত আব্দুল কাইয়ুম কামালী সিতু। তবে শেষ সময়ে এসে সকল হিসাব নিকাশে নৌকার প্রার্থী অনেক এগিয়ে রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা শহরসহ অন্তত চারটি ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস পাওয়া গেছে।

এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮৯টি। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির শিক্ষিত, মার্জিত প্রবীন নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও খুশী। মো. নুরুল ইসলাম জগন্নাথপুর আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিজ অবস্থান সুসংহত করেছেন। সঠিক ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় দলের সকল গ্রুপ ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করছে। যা অতীতে কোনো নির্বাচনে হয়নি। এককথায় নৌকার পক্ষে জগন্নাথপুরের আওয়ামী পরিবার একাট্টা। ভোটারগণ একজন ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নুরুল ইসলাম; জাতীয় পার্টির আতাউর রহমান; জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের মনোনীত আব্দুল কাইয়ুম কামালী সিতু; যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন রাশীদ এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সৈয়দ তালহা আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সর্বশেষ গত ২ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রবাসী ছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকমল হোসেন বিজয়ী হন। পরে ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকমল হোসেন মারা যাওয়ায় উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন উৎসবমূখর হয়ে উঠেছে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী তালহা আলম বলেন, নির্বাচনে প্রিসাইটিং কর্মকর্তারা ১০ ভাগ ভোট দিতে পারে, এই ভোট নির্বাচনে জয় পরাজয়ের প্রতিবন্ধক। কারচুপির মাধ্যমে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার যাতে জয় ছিনিয়ে নিতে না পারে সে জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরক্ষা গ্রহণ করেছি।

জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের মনোনীত আব্দুল কাইয়ুম কামালী সিতুও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হবে।