জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রতীক বরাদ্দের আগেই মাঠে প্রার্থীরা

প্রতীক বরাদ্দের আগেই মাঠে প্রার্থীরা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ১৮ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য করা রয়েছে। নির্বাচনী বিধি মতে, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণায় বিধি-নিষেধ থাকলেও মনোনয়ন দাখিলের পর থেকেই সব প্রার্থী পুরোদমে মাঠে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আকমল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস চৌধুরী লিটন। এ ছাড়া নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন তিনজন।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, পাঁচ বছর মেয়াদপূর্তিতে গত ৬ জুন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী ২৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু বন্যার কারণে তা স্থগিত করা হয়। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর ফের তফসিল ঘোষণা করে ২ নভেম্বর ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। গত ৬ অক্টোবর মনোনয়ন দাখিল শেষে প্রচারে মাঠে নামেন প্রার্থীরা। ১০ অক্টোবর বাছাই সম্পন্ন হয়। আগামী ১৭ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ১৮ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের কথা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার চালানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রার্থীরা তফসিল ঘোষণার পরপরই মাঠে নেমে পড়েন। বিপুলসংখ্যক লোকজন নিয়ে প্রচার, গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

সূত্র জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তার সমর্থকরা নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর আগে একই অভিযোগ ওঠে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম জানান, অতি উৎসাহী হয়ে কিছু কর্মী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা চালাতে নিষেধ করায় এখন আর কেউ করছেন না। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আকমল হোসেন বলেন, ‘প্রতীক ব্যবহার করে প্রচারণা চালাতে নিষেধ করেছি।’

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার শুকুর মাহমুদ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আচরণবিধি মেনে চলার জন্য আমরা এরই মধ্যে প্রার্থীদের বলে দিয়েছি।