ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতায় ড্র বাংলাদেশের
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়েছে। ২১ বছর আগে সবশেষ দেখায়ও ড্র করেছিল দুই দল। ২০০১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচটি হয়েছিল সৌদি আরবের দাম্মামে। জমজমাট লড়াই শেষে ম্যাচটি ২-২ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল।
মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে হাজার হাজার সমর্থকের সামনে নতুন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল একচেটিয়া খেলেও গোল আদায় করতে পারেনি। দুই অর্ধেই বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ছিল এগিয়ে। মিলেনি কেবল গোলের দেখা।
ভাগ্য যে সহায় ছিল না বাংলাদেশের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ৪১ মিনিটে সুমন রেজার শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। ৭২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার শট কর্নারের মাধ্যমে রুখে দেন মঙ্গোলিয়ার গোলরক্ষক।
২৪ মার্চ মালেতে মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হারের পর ঘরের মাঠে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় প্রত্যাশা ছিল সবার। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি পরিপূর্ন ছিল দর্শকে। কিন্তু গোল না পাওয়ায় ভগ্ন হৃদয় নিয়েই ফিরতে হয়েছে সিলেটের দর্শকদের।
আক্রমণভাগে সুমন রেজা, রাকিব ও ইব্রাহিমরা বারবার চেষ্টা করে মঙ্গোলিয়ার রক্ষণ তছনছ করলেও গোলমুখ খুলতে পারেননি। পুরো ম্যাচ মঙ্গোলিয়া খেলেছে রক্ষণাত্মক কৌশলে শেষ পর্যন্ত তারা রক্ষণদূর্গ ঠিক রেখে বাংলাদেশকে রুখে জয়ের সমান ড্র নিয়ে দেশে ফিরতে পারছে।
বাংলাদেশের নতুন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে বাংলাদেশ দুই ম্যাচ খেলে একটি হেরে একটি ড্র করলো। তবে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক ফুটবল সবার নজর কেড়েছে। বাংলাদেশের সবই ছিল ঠিকঠাক। শুধু গোলটাই আদায় করতে পারেনি।