বাংলাদেশে বিশ্বকাপের খবরে রোমাঞ্চিত জ্যোতি

বাংলাদেশে বিশ্বকাপের খবরে রোমাঞ্চিত জ্যোতি

২০১৪ সালের পর আবার নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ছাড়পত্র পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড। লাল-সবুজের বুকে মেগা এই টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর ২০২৪ সালে। আরো একবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।

আজ বুধবার মিরপুরে দলীয় অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক জ্যোতি জানান, নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার সৌভাগ্য সবার হয় না। 

জ্যোতি বলেন, ‘খবরটা শোনার পর আমি খুব রোমাঞ্চিত। কারণ, নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার মতো সৌভাগ্য সবার হয় না। জানি না কি হবে, বেঁচে থাকলে খেলার সুযোগ পেলে আমাদের জন্য বড় একটা বিষয়।’

নিজ দেশের দর্শকের সমর্থন দলকে বাড়তি সহায়তা দেবে বলে মনে করেন জ্যোতি, ‘নিজের দেশের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে, দর্শকদের সমর্থন থাকে যা দলকে বুস্ট আপ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।’

গতকাল মঙ্গলবার আইসিসি অনুমোদন দেওয়া চারটি ইভেন্টে; নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ ও ২০২৬-এর আয়োজক বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত ও শর্ত সাপেক্ষে ২০২৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শ্রীলঙ্কায়।

আগে নারী ও পুরুষদের আইসিসি ইভেন্ট একসাথে আয়োজন হত। তবে সম্প্রতি আলাদা আলাদা সময় ও দেশে ইভেন্ট আয়োজনের পথে হাঁটছে আইসিসি। নারী ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জ্যোতি।

জ্যোতির ব্যাখ্যা, ‘আইসিসি যখন থেকে নারীদের ইভেন্টগুলো ভাগাভাগি করছিল তখন থেকে ইন্টেনশন কিন্তু এটাই ছিল যেন আইসিসি নারী ক্রিকেটকে আরও বেশি প্রোমোট করতে পারে। আমার কাছে মনে যেহেতু শুধু এটা নারীদের বিশ্বকাপ, বিশ্বজুড়ে ভালো নজরে থাকবে, আর বাংলাদেশ ক্রিকেটেও ফোকাস থাকবে।’