বানিয়াচংয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, পুলিশসহ আহত ৩০

বানিয়াচংয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, পুলিশসহ আহত ৩০

বানিয়াচংয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫ জন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারতলা গ্রামে আজমান মিয়া বনাম কাছুম আলীর লোকজনের মধ্যে শিশুর ঝগড়া নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কাছুম আলীর পক্ষের ধলাই মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া (৪২) নিহত হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দু'পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয় এবং বিকালের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর নিহত হয়। সকালের সংঘর্ষের খবর পেয়েই বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুপুরে এবং বিকালে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয় পক্ষের লোকজন। এতে দু'পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে জাহাঙ্গীর নিহত হয়।

নিহত জাহাঙ্গীর কাছুম আলীর পক্ষের লোক বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এদিকে নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার এসআই সন্তোষ, এসআই মনিরসহ একদল পুলিশকে সন্ধ্যার পর থানা থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেলেও আটককৃতদের নাম পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবের সাথে রাত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, সংঘর্ষে ধলাই মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর নিহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড কাঁদানেগ্যাস সেল নিক্ষেপ করেছে। ৫ জন পুলিশ আহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। পুলিশ আহত হওয়ায় পুলিশ এসল্ট মামলা মামলা হবে এবং মার্ডারের ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মার্ডার (হত্যা) মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।