ওসমানীনগরে পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

বাবা-ভাইয়ের পর মারা গেলেন মেয়েও

বাবা-ভাইয়ের পর মারা গেলেন মেয়েও

সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশ। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬) মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা রফিকুল ইসলামের মেয়ে সামিরা বেগমও (২০) ১২ দিনের মাথায় মারা গেছেন। তবে সুস্থ হয়ে মা ও ভাই ভাড়া করা বাসায় চলে গেছেন। এ ঘটনার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামিরা।

সামিরার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান। তিনি জানান, বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে প্রায় ১১ দিন আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন সামিরা। এ পর্যন্ত এই ঘটনায় সামিরা ও তার বাবা-ভাইসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

একই দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও আরেক ছেলে সাদিকুল ইসলামকে (২৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। তারা এখনও হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়ে গত বুধবার থেকে তাজপুরস্থ ভাড়া করা বাসায় অবস্থান করছেন।

এদিকে, এখনও পর্যন্ত কী কারণে পিতা-পুত্র-কন্যার মৃত্যু হয়েছে সেই রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পুলিশ সর্বশেষ জানিয়েছে, খাদ্যে বিষক্রিয়া, বাইরে থেকে স্প্রে এবং পোর্টেবল জেনারেটর থেকে সৃষ্ট কার্বন মনোক্সাইড ধোঁয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে চট্টগ্রাম থেকে ভিসেরা রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে মূল রহস্য।