বালাগঞ্জে সুমাইয়া হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামল শিক্ষার্থীরা

বালাগঞ্জে সুমাইয়া হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামল শিক্ষার্থীরা

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বাণীগাঁও এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া বেগমের ঘাতকদের চিহ্নিত করে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘জাস্টিস ফর সুমাইয়া ক্যাম্পেইন ইউকে’ ও ‘শহীদ সুমাইয়া সংগ্রাম পরিষদের’ যৌথ উদ্যোগে উপজেলার পাঁচটি স্থানে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এবং বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার সর্বস্থরের মানুষ একাত্ততা পোষণ করে অংশ গ্রহণ করেন।

৮ই মে বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার তিলকচাঁনপুর-আদিত্যপুর আলিম মাদরাসার সামনে ও বেলা ২টায় বোয়ালজুড় বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। পৃথক মানববন্ধনে তিলকচাঁনপুর-আদিত্যপুর আলিম মাদরাসা, বোয়ালজুড় বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, বোয়ালজুড় শাহ মকসুদ শাহ মনির উদ্দিন (রাঃ) হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা, বাণীগাঁও এসইসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে অংশ গ্রহণ করে সুমাইয়ার ঘাতকদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

এর আগে বালাগঞ্জ সরকারি কলেজ, বালাগঞ্জ সরকারি ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়, বালাগঞ্জ তয়রুন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুসলিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও পূর্ব গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সামাইয়ার মা ফাতেহা বেগম ভাই ইছকন্দর মিয়া ও বোন রহিমা বেগম উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে পুলিশরে প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন। মানববন্ধনে শহীদ সুমাইয়া সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মুপ্তি মাহমুদ জায়গীরদার, যুগ্ম আহবায়ক সুহেল আহমদ, আব্দুল মতিন, সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ, সদস্য আমীর আলী, সামাদুল ইসলাম সামাদ, মতিউর রহমান, আতাউর রহমান, ইফতেখার রাকিব ও হেলালুজ্জামান বকুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তৃতা করেন।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নুরপুর হেকিম আলী গ্রামের আইন উল্যার মেয়ে সুমাইয়া ১ভাই ও ১০ বোনের মধ্যে ছোটো ছিল। ক্লাসে তার রোল নম্বর ছিল-৩। ২২ মার্চ তার লাশ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ দায়সারা মনোভাব দেখিয়ে আসছে। দেড় মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। এই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও আসামীদের স্বীকারোক্তি কিংবা হত্যার রহস্যের বিষয়ে পুলিশ কিছুই বলছে না। উল্টো আন্দোলন কর্মর্সচি থেকে সরিয়ে রাখতে এলাকাবাসীকে চাপে রাখছে পুলিশ।

সুমাইয়ার ভাই ইছকন্দর মিয়া মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, এই মামলায় বর্তমানে জেলে থাকা দুই জনের মধ্যে জাহাঙ্গীর আমার বোনের হত্যাকারী। আমি নিশ্চিত সে আমার বোনকে হত্যা করেছে কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করছে না। আমি ঘাতকদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি চাই।