বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ে সিলেটের সাংবাদিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল কর্মশালা

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ে সিলেটের সাংবাদিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল কর্মশালা

সিলেট জেলার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক ভার্চুয়াল (জুম অন-লাইন) কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালার সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়ক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ, দৈনিক একাত্তরের কথা’র প্রধান প্রতিবেদক মিসবাহ উদ্দীন আহমদ মঙ্গলবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ৩৫ জন সাংবাদিক নিজ নিজ এলাকা থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। বেশিরভাগ সাংবাদিকই বিভাগের তৃণমূল পর্যায় থেকে গণমাধ্যমে কাজ করছেন।

দুই ঘন্টাব্যাপী জুম এ ভার্চুয়াল কর্মশালায় আলোচকরা সিলেটের গ্রামীণ জনপদে, সীমান্তবর্তী এলাকাতে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগে ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রথাগত নেতৃত্ব, রাজনীতিবিদ, সুধীজন ও ধর্মীয় প্রধানদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ বাসস’র জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল, ইউএসএইড-উজ্জীবন প্রকল্পের কনসালটেন্ড সোনিয়া রহমান কর্মশালা পরিচালনা করেন।

কর্মশালায় বাল্য বিবাহের কারণ, কুফল, প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়। করোনাকালীন মহামারীর সময়ে দেশের বাল্য বিবাহ বেড়ে যাওয়ার তথ্য প্রকাশ করে আগামীতে এ অবস্থা কমিয়ে আনতে জনমত সৃষ্টিতেও সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়।

আলোচনায়, বাল্য বিবাহ সম্পর্কে ধারণা, সংজ্ঞা, চিত্র, করোনাকালীন অবস্থা, কারণসমূহ, পরিণতি, সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর প্রভাব, বাল্য বিবাহের শাস্তি, বাল্য বিবাহ পরিচালনার শাস্তি, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ এবং সর্বোপরি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

আলোচকরা বলেন, প্রত্যেকের অবস্থান থেকে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। সম্মেলিত প্রচেষ্টায় পারে বাল্য বিবাহ মুক্ত সমাজ গড়তে। এর জন্য আওয়াজ তুলতে হবে- বাল্য বিয়ে বন্ধে আমার মতো এগিয়ে আসেন আপনিও। আমরা সবাই যদি সচেতন থাকি, তাহলে কোনো অবস্থাতেই ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হবে না।

বাংলাদেশ মানবাধিকার সংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৩৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।