বিরোধে চাঙ্গা সিলেট বিএনপি

বিরোধে চাঙ্গা সিলেট বিএনপি
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি

সিলেটে দীর্ঘদিন থেকে মাঠে কার্যত কোনো কর্মসূচি না থাকলেও বিরোধে কারণে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দলটি। দলটির নেতাদের মধ্যে গোপন থানা বিবাদ এবার প্রকাশ্যে এসেছে। এ অঞ্চলে দলটির অঙ্গসহযোগী সংগঠনে রীতিমত পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে।

দলের এক প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতার পদত্যাগের পর ইতোমধ্যে নবগঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের ১১ নেতা ও মহানগর তাঁতী দলের তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন। আরও অনেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে। গত ১৭ আগস্ট সিলেট জেলা ও মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। এতে নিজের বলয়ের নেতারা কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় এই কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জামান জামান। এ জেড়ে  গত ১৮ আগস্ট জামান পদত্যাগের ঘোষণা। ওইদিনই তিনি দলের মহাসচিব বরাবরে পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন।

জামানের পদত্যাগ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ১১ নেতা। গত ২১ আগস্ট তারা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন। আর ২৩ আগস্ট পদত্যাগ করেন বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের তিন নেতা।

বিএনপি নেতারা জানান, বহুধাবিভক্ত সিলেট বিএনপি এখন মূলত দুটি ধারায় বিভক্ত। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের অনুসারী ও তার বিরোধী এই দুই বলয়ের মধ্যেই এখন বিরোধ সবচেয়ে তুঙ্গে। খন্দকার মুক্তাদিরের বিরোধী বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, শামসুজ্জামান জামানসহ কয়েকজন নেতা।

এদিকে নেতাদের এমন পদত্যাগের ঘোষণাকে বিব্রতকর আখ্যা দিলেও এতে দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।

তিনি বলেন, অনেকের ক্ষোভ থাকতে পারে। এই ক্ষোভ নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করা যেতে পারে। প্রকাশ্যে এভাবে পদত্যাগের ঘোষণা শোভন নয়। তবে তাদের এমন ঘোষণায় দলে তেমন প্রভাব ফেলবে না। পদত্যাগকারীরা সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কোনো দায়িত্বেও নেই।