বৃষ্টির সম্ভাবনা, দ্রুত ধান কাটার আহ্বান প্রশাসনের

বৃষ্টির সম্ভাবনা, দ্রুত ধান কাটার আহ্বান প্রশাসনের

সুনামগঞ্জে নদীর পানি ধীরে কমায় ও টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় কৃষক, স্থানীয় প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি অফিস সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই উৎকণ্ঠার মধ্যে পড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- নদীর পানি টইটম্বুর অবস্থার মধ্যেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও ভালো খবর নেই। এই অবস্থায় দ্রুত ধান কাটা ছাড়া উপায় নেই।

তবে কৃষকরা বলছেন- ধান এখনও আধাপাকা। কীভাবে কাচা ধান কাটবেন তারা। কিন্তু নদীর পানি ধীরে কমা, অসময়ে নির্মিত দুর্বল বাঁধ দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৫ দিনে মাত্র ১০০ সেন্টিমিটার কমেছে। রোববার সকাল নয়টায়ও শহরের পাশের ষোলঘর পয়েন্টে পানি ৪.৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। হাওরের বিপদসীমার ১৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যাচ্ছে পানি। এর বিপদসীমা ৬.০৫ সেন্টিমিটার। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাবাসে বলা হয়েছে- ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন সুনামগঞ্জ ও উজানে বৃষ্টি হবে। ১৭ তারিখে বৃষ্টি বেশি হবে। সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

এই অবস্থায় সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে ৮০ ভাগ পাকা বোরো ধান কেটে ফেলার জন্য জেলার কৃষকদের অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নদীর পানি প্রথম দফার ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে যা হয়েছিল, ধীরে কমায় সেটি স্থিতিশীল হয়ে আছে, এখন ঢল নামলে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ ঠেকানো যাবে না। এই অবস্থায় সব পেশার মানুষকে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে দ্রুত ধান কাটার কাজ করতে হবে।

সুনামগঞ্জে এবার ২ লাখ ২২ হেক্টর জমিতে বোরার আবাদ হয়েছে। ২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিলের মধ্যে উজানের ঢলে কিছু কিছু দুর্বল বাঁধ ভেঙে বড় দুটি হাওরসহ ১৫ হাওর ডুবেছে। সরকারি হিসেবে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসল ডুবে ২৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বেসরকারি হিসাবে ক্ষতি আরও বেশি।