বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ শুরু করেছেন কৃষকেরা। পৌষের শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষে মাঠে কাজ করছেন তারা। চারা রোপণের পাশাপাশি জমি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে উপজেলায় সেচের অভাব না থাকলে আরও বেশি বোরোধান আবাদ করা সম্ভব বলে কৃষকেরা জানান।  
 
কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, রবিশস্য ফসল আবাদের পাশাপাশি বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করছেন। চারা রোপণের জন্য অনেকেই জমি তৈরি কাজ করছেন। তেলের দাম বাড়ায় বোরো চাষে আগের চেয়ে অনেক খরচ বেড়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা না থাকায় চাষে বিলম্ব হচ্ছে বলে তারা জানান।  
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় বোরো চাষে ৪ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত কয়েকবছর ধরে এ উপজেলার কৃষকেরা বোরো চাষে এগিয়ে এসেছেন।  

সরেজমিনে উপজেলার পতনঊষার, মুন্সীবাজার, শমশেরনগর, আলীনগর ও রহিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, শীতের সকালে কুয়াশায় মধ্যে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। অনেক কৃষক চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আবার অনেকেই চারা গাছে পরিচর্চ্চা করছেন। তবে সেচ সংকট, স্যার ও তেলের দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে ভোগছেন অনেক কৃষক।

রহিমপুর ইউনিয়নের কৃষক নিখিল মালাকার বলেন, গত দুই বছর ধরে ২ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছি। জমি প্রস্তুতি শেষে চারা রোপণ করছি। পর্যাপ্ত সেচের সুবিধা থাকলে আরও ২/৩ একর জমিতে বোরো চাষ করতাম। শমশেরনগর ইউনিয়ন কৃষক ওয়াজিদ আলী বলেন, ৩ একর জমিতে এ বছর বোরো ধান চাষ করবেন। তেলের দাম বাড়ায় সেচ ও হাল চাষে অনেক খরচ বেড়েছে। আমন মৌসুমের মতো বারো মৌসুমে ধানের দাম থাকলে কৃষকেরা উপকারী হবেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ্বজিত রায় বলেন, বোরো ধান আবাদ করার জন্য আমরা কৃষকদের সহযোগিতা করছি। এ উপজেলায় আগের তুলনায় বোরো চাষ অনেক বেড়েছে। আউশ, আমন এর পাশাপাশি বোরো চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন। ধানের বাজারমূল্য ভালো থাকায় এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি আবাদ হবে বোরো।