মা-বাবাকে দত্তক নেওয়ার গল্প

মা-বাবাকে দত্তক নেওয়ার গল্প

মা-বাবাকে দত্তক নেওয়ার কথা কখনো শুনেছেন? প্রেমিকার দাবি মেনে বিয়েটা পাকা করতে সেই কাজই করলেন গল্পের নায়ক। বলছি রাজকুমার রাও ও কৃতি শ্যাননের ‘হাম দো হামারে দো’ ছবির কথা। শুক্রবার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি হটস্টারে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।

অনাথ ধ্রুব প্রেমে পড়ে আনায়া মেহরার। রাজকুমার রাওর চরিত্রের নাম ধ্রুব শিখর। অন্যদিকে আনায়া চরিত্রটি করছেন কৃতি শ্যানন। আনায়ার একটাই শর্ত—এমন একজনকে বিয়ে করবে, যার আছে একটি সুন্দর পরিবার এবং কিউট কুকুর। ভালোবাসা হারাতে চায় না ধ্রুব। সে বেরিয়ে পড়ে মা-বাবার খোঁজে। অবশেষে দেখা হয় পুরুষোত্তম মেহরা ও দীপ্তি ক্যাশপের সঙ্গে। নিজের ভালোবাসাকে বাঁচাতে তাদেরই বেছে নেয় মা-বাবা হিসেবে। পরেশ রাওয়াল করছেন পুরুষোত্তম মেহরার চরিত্র আর দীপ্তির চরিত্রে রত্না পাঠক। গড়ে ওঠে নতুন পরিবার। জন্ম নেয় নতুন নতুন ক্রাইসিস।

রত্না পাঠক বলেন, ‘পরেশ আমার দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু। আর রাজকুমার রাওয়ের অভিনয়ের ভক্ত আমি। ওর ছবি মুক্তি পেলে নিয়মিতই দেখি। ওর সঙ্গে যখন কাজের অফার আসে, তখন মনে হলো ছবিটা ভালো কিছুই হবে। তা ছাড়া, এই সময়ে এসে এই ফ্যামিলি ড্রামাগুলো তৈরি করা খুব জরুরি।’

পরিচালক অভিষেক জেইন ছবিতে খুব ইন্টারেস্টিং গল্প বলেছেন। ভারতীয় সমালোচকেরা বলছেন, পর্দায় ফের একবার নিজের সেরাটা দিয়েছেন রাজকুমার রাও। কৃতি শ্যানন তাঁর চরিত্রের সঙ্গে সুবিচার করেছেন। পরেশ রাওয়াল ও রত্না পাঠক শুধু যে ভালো অভিনয় করেছেন তা নয়, গল্পের সীমিত গণ্ডি ভেঙে নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন।

কিছুদিন আগেই নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল কৃতি শ্য়াননের ‘মিমি’। লক্ষ্মণ উতেকর পরিচালিত ছবিটি ভালোই সাড়া ফেলেছিল দর্শকমহলে। ছবিতে সারোগেট মাদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কৃতি। এই ছবির জন্য় ১৫ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।

অন্য়দিকে, ২০১০ সালে ক্যারিয়ার শুরু করে ইতিমধ্য়েই ২৫টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন রাজকুমার রাও। যার মধ্য়ে উল্লেখযোগ্য় ‘লাভ সেক্স অউর ধোকা’, ‘রাগিনি এমএমএস’, ‘গ্যাংস অফ ওয়াইসপুর’, ‘কাই পো চে’, ‘কুইন’, ‘সিটিলাইটস’, ‘হামারি আধুরি কাহানি’, ‘আলিগড়’, ‘বেহেন হোগি তেরি’, ‘নিউটন’, ‘শাদি মে জরুর আনা’ ও ‘স্ত্রী’।