মা-বাবার কবরের পাশে শায়িত হবেন মুহিত

মা-বাবার কবরের পাশে শায়িত হবেন মুহিত

সদ্যপ্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে সড়কপথে সিলেটের পথে রওয়ানা হয়ে গেছে লাশ। তাঁর পদচারণায় যে স্থানটি নেতাকর্মীসহ সিলেটের আপামর মানুষের আনাগোনা হতো সেই হাফিজ কমপ্লেক্সে রাখা হবে মরদেহ। 

দাফনকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকায় ডিপ্টি বাড়ি হিসেবে পরিচিত মুহিতের পৈতৃক নিবাস লাগোয়া পারিবারিক কবরস্থানে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ। সিলেট সিটি করপোরেশনের একদল পরিচ্ছন্ন কর্মী শনিবার দুপুর থেকে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। কবরের স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে। মা সৈয়দা শাহারা বানু চৌধুরী ও বাবা আবদুল হাফিজের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে। সেই জায়গাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ জানান, মুহিত স্যারকে পারিবারিক কবরস্থানেই দাফন করা হবে। ইতিমধ্যে পুরো কবরস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেখানে তার কবর খোঁড়া হবে সেই স্থানটিও পরিষ্কার করা হয়েছে। মা-বাবার কবরের পাশেই হবে কবর।

জানা গেছে, রবিবার (১ মে) দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার লাশ নেওয়া হবে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে জানাজার নামাজের জন্য আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেওয়া হবে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের লাশ।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করেই মরহুম এই নেতার জানাজার নামাজ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নগরীর রায়নগরে ডিপ্টি বাড়ি পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল বলেন, ‘আমাদের অভিভাবককে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে গেছি। এই ক্ষতি আমাদের আর পূরণ হবে না। সিলেটের উন্নয়ন তথা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য তার নিরলস প্রচেষ্টা সবসময় ছিল।’

আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেট নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে তার অবস্থান ছিল তৃতীয়। পিতা-মাতা দুজনই তৎকালীন সিলেট জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা ১০টিসহ মোট ১২টি বাজেট দিয়ে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করে গেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি ভাষাসংগ্রামী ও রেকর্ডধারী অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান সিলেটবাসী।