মার্চে ২৩ ভাগ দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলে

মার্চে ২৩ ভাগ দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলে

চলতি বছরের মার্চে ৪৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৩৮ জন।

একই সময় রেলপথে ৫৩টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৯টি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, ১৪ জন আহত এবং দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।

সড়ক, রেল ও নৌপথে ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫৯২ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৬৭ জন আহত হয়েছেন। ১৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ৯৭ জন আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

আজ বুধবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় ৬৬৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ বাস, ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত দুর্ঘটনার ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬ দশমিক ৪২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং ১ দশমিক ২৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৫ দশমিক ১১ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে মোট দুর্ঘটনার ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ২৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ২৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য আটটি কারণের মধ্যে রয়েছে—চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতি ও বিপদজনক অভারটেকিং, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, চালকের কর্মঘণ্টা ও বেতন সুনির্দিষ্টি না থাকা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা।

রাস্তার পাশে হাটবাজার, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা এবং ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি ফলে সড়কে দুর্ঘটনা ক্রমবর্ধমান।