মালিক সমিতির কথা শুনছে না চালকরা, গন্তব্যে যাচ্ছে বাস

মালিক সমিতির কথা শুনছে না চালকরা, গন্তব্যে যাচ্ছে বাস

কেরোসিনও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশে একযোগে ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন মালিকরা। একই অবস্থা সিলেটেও। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে বিভাগের কিছু কিছু স্থানে। তবে এতে বাঁধা দিচ্ছেন বাস মালিক পক্ষ। চালকরা অনেকটা তাদের উপেক্ষা করেও বাস ছাড়ছেন।

ধর্মঘটের তৃতীয় দিন সিলেট নগরের আখালিয়া বাস স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এই বাস স্টেশন থেকে রবিবার (৭ নভেম্বর) অন্তত ৫টি বাস সুনামগঞ্জ জেলা শহরের উদ্দেশ্য ছেড়েছে।

বাসের চালকরা বলছেন, গাড়ি চাকা না ঘুরলে তো আমাদের ঘরে খাবার বন্ধ থাকে। নিরুপায় হয়ে আমরা বাস ছাড়ছি। মালিক সমিতি আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলেছে, এতে আমাদের কিছু করার নেই।

জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউল কবির পলাশ জানান, তাদের দাবী একটাই। হয়তো ভাড়া বাড়বে অথবা ডিজেলের দাম কমবে। দাবী মানা না হলে ধর্মঘট চলবে। তবে বাস ছেড়ে যাবার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

এদিকে সাধারণ লোকজনের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। যাত্রীরা বিকল্প ব্যবস্থায় যাতায়াত করতে গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া।

এর আগে বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা। যাত্রী পরিবহণ সংগঠনগুলোর নেতারা তাদের অনানুষ্ঠানিক এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এদিকে গণপরিবহনের পাশাপাশি সিলেটের বিভিন্ন ব্রিজে ‘অতিরিক্ত টোল আদায়’ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ট্যাংকলরি প্রাইম মুভার মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে পণ্যপরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে সিলেটে কোনো ট্রাক চলাচল করছে না। পণ্যপরিবহন ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকে দক্ষিণ সুরমা কদমতলী বাস টার্মিনালসহ আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।