মুশফিকের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে টাইগারদের রেকর্ড রান

মুশফিকের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে টাইগারদের রেকর্ড রান

আগের ম্যাচে নতুন ব্যাটিং পজিশনে মেলে ধরেছিলেন নিজেকে। এবার ইনিংসের শেষদিকে এসে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে মুশফিকুর রহিম।

ইনিংসের শেষ ওভার শুরুর আগে ৯ রান দরকার ছিল তার। তৃতীয় বল থেকে স্ট্রাইক পাওয়া মুশফিক দুইটি ডাবলের সঙ্গে মেরেছেন একটি চার। শেষ বলে সমীকরণ ছিল এক রান নেওয়ার। সেটি নিয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানই হয়ে গেছেন মুশফিক, ছাড়িয়ে গেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের ৬৩ বলের শতককে।  তাতে বাংলাদেশও পেয়েছে রেকর্ড সংগ্রহ।  

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের সামনে ৩৫০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই নিজেদের দলীয় সংগ্রহের ৩৩৮ রানের সংগ্রহ গড়েছিল স্বাগতিকরা, এবার ছাপিয়ে গেলো সেটি।  টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায়। তামিম ইকবাল এরপর হয়ে যান রান আউট। পাওয়ার প্লের শেষ বলে এসে শর্ট ফাইন লেগে ফেলে রানের জন্য দৌড় শুরু করেন নন স্ট্রাইকে দাঁড়ানো তামিম। কিন্তু তিনি ক্রিজে পৌঁছার অনেক আগেই সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন মার্ক আডইয়ার।  

এরপর শান্তকে নিয়ে শতরান ছাড়ানো জুটি গড়েন লিটন দাস। দুর্দান্ত খেলছিলেন তিনি। কিন্তু আউট হয়েছেন খুবই সহজভাবে। ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৭১ বলে ৭০ রান করে লিটন আউট হন ক্যাম্পারের বলে।  

১৯ বলে ১৭ রান করেন সাকিব আল হাসান। লিটন সেঞ্চুরি মিসের পর আশা ছিল শান্তকে নিয়ে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও পারেননি হৃদয়-সাকিব।  

লিটনের পর এ ম্যাচে ব্যর্থ হন শান্তও। হিউমের বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দেন শান্ত। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। আগের ম্যাচে অভিষেকে রান পেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়, পেলেন এদিনও। কিন্তু দুদিনই তার সঙ্গী হলো সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরির আফসোস।  

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে হৃদয়ের ৭৮ বলে ১২৮ রানের জুটির পর আউট হয়েছেন ৪৯ রানে। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে এই রান করা ব্যাটার অ্যাডাইয়ের বলে আউট হন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এরপরের পুরো আলোটাই ছিল মুশফিকুর রহিমের জন্য।  

হৃদয়ের অভিষেকের পর তার ব্যাটিং পজিশন নেমে গিয়েছিল ছয় নম্বরে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬ বলে ৪৪ রান করেছিলেন মুশফিক। রানের ধারা তিনি ধরে রাখেন দ্বিতীয়টিতেও। শেষ বলে সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিক অপরাজিত থাকেন ঠিক ১০০ রানে। ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ বলে ইনিংস সাজান তিনি।