'যারা হরতাল ডেকেছে তারা যেন ধ্বংসাত্মক কাজ না করে'

'যারা হরতাল ডেকেছে তারা যেন ধ্বংসাত্মক কাজ না করে'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হরতাল ডেকেছে। এটা (তেলের দাম) শুধু বাংলাদেশে বাড়েনি, সারাবিশ্বেই বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবহন ব্যয় তিনগুণ হয়ে গেছে। আমাদের দেশ তেল আমদানি করে, অনেক কিছুই আমদানি নির্ভর। যারা হরতাল ডেকেছে তারা যেন ধ্বংসাত্মক কাজ না করে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়ায় পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেল আমদানির ক্ষেত্রে দাম যে অস্বাভাবিক বেড়েছে তার প্রভাব কিছুটা দেশের বাজারে পড়েছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, পিঁয়াজ ও তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। আমাদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। তারপরও যদি কেউ হরতাল ডাকে, আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের আবেদন থাকবে, যারা হরতাল ডেকেছে তারা যেন ধ্বংসাত্মক কোনো কাজ না করে এবং জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হরতাল-ধর্মঘট এসব রাজনৈতিক চর্চা। রাজনৈতিক দলগুলো এগুলো করতেই পারে। আমাদের কথা হলো, ২৮ তারিখের হরতালে কেউ যদি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ভাংচুর করে, ধ্বংসাত্মক কিছু করে, তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তাবাহিনী তাদের ভূমিকা রাখবেন। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলো সহনশীলতার পরিচয় দিবে। তারা ভাংচুরে যাবে না, ধ্বংসাত্মক কাজ করবে না। জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে না। জনগণের জানমালের ক্ষতি করবে না।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলে অনেকেই অনেক কৌশল অবলম্বন করে। জনগণের ভোট ছাড়া অন্যভাবে ক্ষমতায় আসা যায় কিনা, এ ধরনের কৌশল অনেকেই করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভরসায় চলেন, জনগণের শক্তিকে নিজের শক্তি মনে করেন।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চট্টগ্রাম এর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামিনুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।