সিলেট-৩ আসনে ভোট: বিচার বিভাগীয় নির্বাচনী তদন্ত কমিটি

সিলেট-৩ আসনে ভোট: বিচার বিভাগীয় নির্বাচনী তদন্ত কমিটি

আসন্ন সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় 'নির্বাচনী তদন্ত কমিটি' গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কমিটি যে কোনো অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি প্রদানে ইসির কাছে সুপারিশ করবে।

বুধবার (৩০ জুন) তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ৯১(এ) ধারার ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে একাদশ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

নির্বাচনী পূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত বোঝায়।

সিলেটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বেগম তাসলিমা শারমিন এবং সিনিয়র সহকারী জজ নির্জন কুমার মিত্রের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলা ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত।

এ আসনে ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করলে বাতিল হয় দুজনের। চারজন বৈধতা পান। বৈধ প্রার্থিরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী।

যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়, তারা হলেন—স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহমিদা হোসেন ও সেখ জাহিদুর রহমান মাসুম।

গত ১১ মার্চ মাহমুদ সামাদ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নবম ও দশম সংসদেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি আরো অবনতি হলে এ আসনের ভোটও স্থগিত হতে পারে।