সিলেটে 'কদর বেড়েছে' চার্জার ফ্যান-আইপিএসের

সিলেটে 'কদর বেড়েছে' চার্জার ফ্যান-আইপিএসের

সারাদেশের মতো সিলেটেও হুটহাট চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। একবার গেলে ফিরে আসে অন্তত এক ঘণ্টা পর। আগে শুধু দিনে লোডশেডিং ছিল। এখন সন্ধ্যা ও মধ্যরাতেও হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় ৫/৬ বার লোডশেডিং হওয়ায় জনজীবনে ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে। এতে লোডশেডিংয়ে গরম থেকে রেহাই পেতে সিলেটে ছুটছেন ইলেক্ট্রনিক পণ্যের দোকানগুলোতে।

সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ সবুজ বিপণীসহ নগরের কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা যায়- শুধু চার্জার ফ্যান বা লাইট নয়, চাহিদা বেড়েছে জেনারেটরেরও। বিক্রির পাশাপাশি অনেকেই মেরামত করিয়ে নিচ্ছেন ঘরে পড়ে থাকা পুরনো জেনারেটর।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুদিন থেকে সিলেট নগরে হঠাৎ বেড়েছে চার্জার লাইট, ফ্যান ও জেনারেটরের চাহিদা। প্রায় প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতারা ভীড় করছেন। এছাড়াও ব্যস্ত সময় পার করছেন জেনারেটরের মেরামতকারীরা।

চার্জার ফ্যান কিনতে আসা শাপলা বেগম বলেন, আমাদের এলাকায় কয়েকদিন থেকে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। ঘরে বৃদ্ধ মা ও বাচ্চা আছে। গরমে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। একমতো বাধ্য হয়ে চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি। কিন্তু যে ফ্যানের দাম জেনে এসেছি ২৫ থেকে ২৭ শ’ টাকা, সেই ফ্যানের দাম এখন চাওয়া হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। সঙ্গে তো এত টাকা নিয়ে আসিনি, তাই মনে হয় আজ আর ফ্যান কেনা হবে না।

সবুজ বিপণীর পাইকারি ইলেক্ট্রনিক্সসামগ্রী বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান রাফি ইলেকট্রনিক। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক শাকিল আহমদ বলেন- এসব পণ্য মূলতঃ ঢাকাকেন্দ্রিক। আমাদের সিলেটে বিদেশ থেকে মালামাল আমদানি করা হয় না। ফলে ঢাকার পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে আমাদের পণ্য ক্রয় করতে হয়। আর এসব সামগ্রী সিলেটে নিয়ে আসতে পণ্য পরিবহন খরচ লাগে। তাছাড়া গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্যানের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য। তবে আমরা সামান্য লাভেই পাইকারি বা খুচরো বিক্রি করি।