সিলেটে পর্যটন স্পটে পিনপতন নীরবতা!

সিলেটে পর্যটন স্পটে পিনপতন নীরবতা!

সিলেট সারাদেশে পর্যটন নগরী খ্যাত। প্রতি ঈদে সিলেটকে ঘিরেই ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকে পর্যটকদের। তবে গত ঈদের মতো এবার বিপরীত চিত্র সব পর্যটন স্পটে।

সবুজে ঘেরা এ অঞ্চলের চা-বাগান, জাফলং, সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য মাটিতে লুটায় সেই বিছানাকান্দি অথবা স্বচ্ছ জলরাশির লালাখাল, সাদা পাথরে গা ভাসিয়ে দেওয়া কিংবা মিনি কক্সবাজার হাকালুকির উত্তাল তরঙ্গে প্রমোদতরীতে ভেসে চলা।

এসবের পাশাপাশি অলিকূল শিরোমণি শাহজালাল (র.) ও শাহপরাণ (র.) মাজার জিয়ারতে আসেন ভক্ত আশেকান ও ভ্রমণপিপাসোরাও। সিলেটের এসব দর্শনীয় স্থান এবারো ঘুরে দেখা হচ্ছেনা পর্যটকদের।

বছরজুড়েই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকা এসব স্থানে ঈদুল আযহাতর থাকছে পিনপতন নীরবতা! করোনাকালে গত ঈদুল ফিতরের ন্যায় এবারো সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্রে যাতাযাতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে। কেবল করোনার কারণেই পর্যটন কেন্দ্রে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে প্রশাসন।

এদিকে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

ঈদে চলমান শিথিল লকডাউন অবস্থায় সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমন বন্ধ রাখতে জাফলং জিরো পয়েন্ট, সংগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকা, আদিবাসী খাসিয়া পল্লী ও জাফলং চা-বাগান এলাকায় কোনো ধরনের জনসমাগম যাতে না ঘটে, সেজন্য একাধিক তল্লাশি চৌকি বসিয়ে রাস্তা থেকেই পর্যটকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এ বিষয়ে সিলেট টুরিস্ট পুলিশের ওসি আকতার হোসাইন জানান, পর্যটন এলাকাকে সুরক্ষিত রাখতে পর্যটক-দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। প্রতিটি পর্যটন স্পট এখন পর্যটকশূন্য।