সিলেটে বেড়েছে আবাদযোগ্য জমি

সিলেটে বেড়েছে আবাদযোগ্য জমি

সিলেট জেলায় বেড়েছে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ। জেলায় এবছর বাড়তি ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর অনাবাদি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এসব জমিতে চাষ কারা হচ্ছে ধান, সরিষা, আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিলেটর একদিকে পাহাড়ি এলাকার অনাবাদি জমি, অপরদিকে প্রবাসীদের মালিকানায় থাকা ফসলি জমি চাষাবাদ হচ্ছে না। এভাবে জমি অনাবাদি ফেলে রাখার প্রভাব দেখা যাচ্ছে এ অঞ্চলের শস্য উৎপাদনেও। দেশে ফসলের নিবিড়তা যেখানে ১৯৪ শতাংশ, সেখানে সিলেট বিভাগে তা ১৭০ শতাংশ। তাই এই জমি যাতে চাষের আওতায় আসে সেদিকে নজর দেয়া হয়। সিলেটে এবছর আবাদযোগ্য ৮৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ফসল এবং ৪১ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। তার সাথে নতুন ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর অনাবাদি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান জানান, সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশি পতিত জমি আছে সিলেটে জেলায়। জেলায় প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বনির্ভর করে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনার প্রেক্ষিতে এবছর সিলেট জেলায় পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে কিছু জমি আবাদের আওতায় এসেছে। এসব জমিতে ধান, সরিষা, আনারসের বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হচ্ছে।

আনিছুজ্জামান আরো জানান, সিলেটে এখনো অনেক অনাবাদি জমি রয়েছে। সরকারি কিছু অনাবাদি জমি রয়েছে কিছু টিলা রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু পতিত জমি রয়েছে যেগুলোর মলিক প্রবাসী বা অন্যান্য এলাকায় থাকছেন। সেগুলো আমরা আবাদের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। কৃষক ও জমির মালিকদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে তৃণমূল পর্যায়ের কাজ করছি। বিভিন্ন সময় কৃষকের মধ্যে সরিষা বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।