সিলেটে হাইড্রোলিক হর্ণের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান

সিলেটে হাইড্রোলিক হর্ণের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান

শব্দদূষণ কমাতে সিলেট মহানগরী এলাকায় হাইড্রোলিক হর্ণের ব্যবহার বন্ধে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গত মার্চ মাসে সিলেট মহানগরীতে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারের দায়ে ২৫ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন’২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ১৭ টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।

ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কশিশনার ফয়সল মাহমুদ পিপিএম বলেন, সাধারণভাবে শব্দের মানমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডেসিবল। তার চেয়ে বেশি মাত্রার শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তি লোপ, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। হাইড্রোলিক হর্ন ১০০ ডেসিবলের বেশি মাত্রার শব্দ সৃষ্টি করে। এই শব্দদূষণ সৃষ্টিতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরো বলেন, হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে, এটা যে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এই বিষয়টি সবাইকে বোঝাতে হবে। বিশেষ করে যানবাহনের মালিক ও চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ট্রাফিক বিভাগ, এসএমপি, সিলেট বেশ কয়েকটি উদ্যেগ গ্রহণ করেছে তন্মধ্যে প্রতি দুই মাস পর পর “ট্রাফিক পক্ষ পালন” চালক ও পথচারীদের নিয়ে পথসভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণসহ জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৪০ ধারা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি শব্দ নিয়ন্ত্রনের মাত্রা বা সমজাতীয় অন্য কিছু পরিবর্তন করেন, তবে ৮৪ ধারা অনুযায়ী তিনি অনাধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ড তবে অন্যূন ১(এক) বছর, বা অনাধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। তবে এসএমপি, ট্রাফিক বিভাগ হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার বন্ধের জন্য ১ম বার অপরাধের ক্ষেত্রে ১৫,০০০/- ও ২য় বার একই অপরাধের ক্ষেত্রে ৩০,০০০/- টাকা জরিমানা নির্ধারণ করেছে।