সিলেটে ১০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সিলেটে ১০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সিলেটে ৫টি কাপড়ের দোকানসহ ১০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

সোমবার (১৮ এপ্রিল) সিলেটের গোলাপগঞ্জে পৌর শহরে ৫টি কাপড়ের দোকানে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর র‌্যাব-৯ সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ।

এদিন নগরে পৃথক আরেকটি অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্ত। ওই অভিযানে কাপড়ের দোকানসহ আরও ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানিক দলের সদস্যরা জানান, এক হাজার টাকায় কেনা কাপড় দাম চাওয়া হয় ৫ হাজার টাকা। ভোক্তাদের সঙ্গে দর কষাকষি করে তা বিক্রি হয় কখনও ৪ হাজার টাকায়। বছরের পর বছর ধরে সিলেটের বিভিন্ন কাপড়ের বাজারে এভাবেই চলছে বেচাকেনা। ফলে কাপড় কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষজন প্রতারিত হচ্ছেন।  

দর কাষাকষি না করতে পেরে অনেকেই হয়তো দ্বিগুণ তিনগুন দামে কাপড় কিনে হচ্ছেন। ক্ষতির সম্মুখীন আবার অনেকে একাধিক দোকান যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে দর কষাকষি করে যথাযথ দামে কাপড় কিনতে পারলেও ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ও শ্রম।  ভোক্তাদের এ ধরনের হয়রানি ও প্রতারণা থেকে মুক্তি দিতে সিলেটেও কাপড়ের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কাপড়ের গায়ে কোনো গোপন কোড নয় বরং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য লেখা নিশ্চিত করতে সোমবার দিনব্যাপী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালানো হয়।

অভিযান চলাকালে কাপড়ের দোকানে দাবিকৃত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ক্রয় রশিদে উল্লেখিত মূল্যের অসামঞ্জস্য, ক্রয় রশিদ প্রদর্শন করতে না পারা, অতিরিক্ত মূল্যে কাপড় বিক্রি করা, এবং কাপড়ের গায়ে স্টিকারে সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য না লেখে বিভিন্ন গোপন কোড লিখে রাখার অপরাধে প্রাথমিক অবস্থায় সতর্কতামূলক কার্যক্রম হিসেবে তামান্না অ্যান্ড আমিনা ফ্যাশনকে ২ হাজার টাকা, ফেয়ার লিডিসকে ২ হাজার টাকা, আনিছা ফ্যাশনকে ২ হাজার টাকা, সায়ান ফ্যাশনকে ২ হাজার টাকা এবং নীলিমা ফ্যাশন অ্যান্ড কসমেটিকস শপকে আরও ২ হাজার টাকা। সর্বমোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ঈদের কেনাকাটায় ভোক্তাদের হয়রানি ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে শাড়ি-কাপড় ও প্রসাধনী সামগ্রির দোকান এবং পরিবহন খাতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে প্রথম অবস্থায় জরিমানার পরিমাণ সীমিত রেখে সচেতনতামূলক প্রচারণায় জোর দিচ্ছি।