সিলেটে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ এখন পানি!

সিলেটে  ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ এখন পানি!

অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরমধ্যে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বহুমাত্রিক সংকটে পতিত হয়েছে নগরবাসী। রমজানের মতো পবিত্র মাসে ইফতার ও সেহরীর সময়ও বিদ্যুৎ বঞ্চিত হয়ে থাকতে হচ্ছে সিলেটবাসীকে। দিনে-রাতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে সিলেট। তার উপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে উঠেছে মহানগরীতে পানির সমস্যা।

গরমে লোডশেডিং বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র হচ্ছে পানির সঙ্কট। গত কয়েকদিনে সিলেট নগরীতে লোডশেডিং ও পানির সংকট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।

নগরবাসী বলছেন, তীব্র গরমে থাকতে হচ্ছে বিদ্যুতহীন তার উপর থাকতে হচ্ছে পানির অভাবে। চাহিদার অর্ধেও পানি পাচ্ছেন না তারা। আর সিটি কর্পোরেশন বলছে, বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে এই সমস্যা। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

শিবগঞ্জের বাসিন্দা রিপন জানান, রোজার মাসে একেতো বিদ্যুৎ থাকছে না দিনের বেশিরভাগ সময়। তার উপর ইদানিং পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে। চাহিদর অর্ধেক পানিও পাচ্ছি না আমরা। যা ফলে বিভিন্ন সমস্যা পড়তে হচ্ছে আমাদের। পানির সমস্যা দিন দিন তীব্র হচ্ছে।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হলেও এই গরমে চাহিদাও বেড়ে গেছে কয়েকগুন। সিলেট বিভাগে এখন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬২০ মেগাওয়াট। তবে আমরা পাচ্ছি ৫১৫ মেগাওয়াট। সিলেটে এখন ১০৫ মেগাওয়াটের মত ঘাটতি রয়েছে। তাই লোডশেডিং হচ্ছে।

আব্দুল কাদির বলেন, আগামীকাল (১৯ এপ্রিল) থেকে অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করতে হবে। এমনটা হলে সমস্যা দ্রুতই সমাধান হবে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান জানান, লোডশেডিং এর কারণে মহানগরীর প্রায় সব এলাকায় পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে। লোডশেডিংয়ে পাম্পগুলো দিয়ে ঠিকভাবে পানি তুলা যাচ্ছে না। যার ফলে মহানগরবাসী পানি সংকটে ভুগছেনে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।