সৈয়দ মুজতবা আলীর ১১৯ তম জন্মবার্ষিকীতে

সৈয়দ মুজতবা আলীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি

সৈয়দ মুজতবা আলীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি

জামাল মোঃ আবু নাছের ।।

সৈয়দ মুজতবা আলীর জীবন বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। জীবন নামক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন, সেগুলোকেই তিনি সাহিত্যে রূপদান করেন।

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পন্ডিত, বাঙালি সাহিত্যিক, রম্যরচিতা ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা গুলো তুলে ধরেন।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ভবনে সিলেটিদের প্রানের সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন ও সৈয়দ মুজতবা আলী পরিষদ যৌথ উদ্যোগে সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্মবার্ষিকী পালন করা হয় ।

বক্তারা বলেন স্বাধীনতা যুদ্ধে সৈয়দ মুজতবা আলীর ব্যাপক অবদান রয়েছে। তাকে অনেক আগেই স্বাধীনতা পদক দেয়া উচিত ছিল। এসময় বক্তারা সৈয়দ মুজতবা আলীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি তুলেন।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সৈয়দ জগলুল পাশার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড.ওবায়দুর রব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ও বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার চৌধুরী। সৈয়দ মুজতবা আলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি সৌমিত্র দেবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাউজিয়া আলী। ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যাপক ফাতেমা চৌধুরী বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক রফিকুর রশীদ,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফিটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. গোলাম মোস্তফা,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.তারিক মনজুর, খ্যাতিমান মরমী সঙ্গী সাধক কবি ও লেখক মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী সহ অনেকেই।

সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সিলেট জেলার অন্তর্গত করিমগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।