হঠাৎ গ্রামাঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ

হঠাৎ গ্রামাঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে  তীব্র গরমে বেড়েছে পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, জন্ডিস ও পানিশূন্যতাসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। ফলে আক্রান্তের অধিকাংশরাই  ভীড় জমাচ্ছেন স্থানীয় ঔষধের দোকান ও হাসপাতালে। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু।

এদিকে প্রতিদিনই নানা রোগের উপসর্গ নিয়ে গড়ে অর্ধশতাধিক রোগী ধর্ণা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এদের কাউকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, আবার কাউকে ভর্তিও করা হচ্ছে। তবে জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা ও বিভাগীয় শহরে রেফারও করা হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে পানিবাহিত জীবাণুর সংক্রমণে পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, জন্ডিস, পানিশুন্যতা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। 

বুধবার দুপুরে সরজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ভর্তি হওয়া রোগীর অধিকাংশরাই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। 

উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের কৃষক মনির হোসেনের স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন,  ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় এখন তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। 

সুরমা ইউনিয়নের আজবপুর গ্রামের তাছলিমা বেগম বলেন, মঙ্গলবার সকালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত আমার ১১ মাসের শিশুকন্যা জামিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। নরসিংপুর ইউনিয়নের সানিয়া গ্রামের দিনমজুর ফখরুল ইসলাম (৩৫) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত দু’দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জানতে চাইলে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীর স্বজনরা বলেন, হাসপাতাল থেকে সরকারি ঔষধ, স্যালাইন ও ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।  

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবু সালেহীন খান  বলেন, গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। প্রচণ্ড গরম ও খরায় পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দূষিত পানি ব্যবহার করায় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তবে আইভি স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ যথেষ্ট পরিমাণ মওজুদ রয়েছে।