উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়েছে হবিগঞ্জের সেই ওসিকে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়েছে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেবকে।
তাকে শুক্রবার বিকেলে আগরতলা চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিধান, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে গত ১৯ আগস্ট বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে বাম চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব। এরপর থেকে তিনি ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনিস্টিউটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এতদিন চিকিৎসায় কোন উন্নতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে শংকর নেত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তিনি শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভারতের চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তার চোখের অবস্থা সংকটাপন্ন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম গত ২২ আগস্ট ২০২৩ তারিখ সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অজয় চন্দ্র দেবকে দেখতে যান। আইজিপি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। আইজিপি অজয় চন্দ্র দেবের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
আইজিপির ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সার্বিক নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে অজয় চন্দ্র দেবেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত পাঠানো হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে হবিগঞ্জ জেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে। পুলিশ তাদেরকে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করা এবং নৈরাজ্য বন্ধের অনুরোধ জানলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে।
এ সময় তারা কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। তাদের ছোঁড়া ইট-পাথরের আঘাতে কর্তব্যরত অবস্থায় হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় চন্দ্র দেব বাম চোখে মারাত্মক আঘাত পান। তাকে তাৎক্ষণিক হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ড তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে শংকর নেত্রালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেয়।
এ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেছেন, কোন পুলিশ সদস্য আইনানুগ দায়িত্ব পালনকালে আহত হলে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।