গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকে'র সম্মেলনে রোজ প্যানেল নির্বাচিত
২৯ জানুয়ারি রবিবার বার্মিংহামের ইকবাল বাংকুইট হলে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে বিপুল সংখ্যক ডেলিগেটদের উপস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী কমিউনিটির ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ সামাজিক ও চ্যারিটি সংগঠন গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে (জিএসসি) এর দ্বিবার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ও বি.জিএম-এর সভায়স্কটল্যান্ড পার্লামেন্ট এর প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপি ফয়সল চৌধুরী এমবিই বলেছেন-ভালো কাজ করলে বাধা-বিপত্তি আসবেই। সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ভালো কাজে সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।
শত শত ভোটাররা উৎফুল্ল ও আনন্দঘন পরিবেশে ভোট সেন্টারে এসে তার পছন্দের প্যানেল ও প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন-গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের এর এই বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে আমি অভিভূত। বিশেষ করে তাঁদের প্রতিটা শাখা ও অঞ্চলের কর্মকান্ডের রিপোর্ট শুনে আমি আমার পরিবারের বিলেতে অবস্থানরত সদস্যদের এই প্রতিষ্ঠানে আরও ঘনিষ্টভাবে জড়িত হবার আহবান জানাবো। আমি এই চ্যারিটির সাথে বাংলদেশে এক সাথে তাঁদের প্রজেক্টে কাজ করার চেষ্টা করবো।
উক্ত নির্বাচনের গোলাপ ফুল প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২.৩০ ঘটিকা থেকে বিকেল ৬.৩০ পর্যন্ত ভোট প্রদান চলে। রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে ব্যারিস্টার আতাউর রহমান ২৯৫ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে বিজয়ী হন, সাধারণ সম্পাদক পদে খসরু খান ২৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, কোষাধ্যক্ষ পদে সালেহ আহমদ ২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম একটি ভোট পেয়েছেন। এবারের নির্বাচনে জিএসসির ১২ টি অঞ্চল (রিজিওন) ও ১৪ টি শাখার (ব্রাঞ্চ) মধ্যে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ৭৪১ জন। ভোট কাস্ট হয়েছে ৩১১ টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১৬টি। নির্বাচনে রোজ প্যানেল ছাড়া ও আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিলে ও শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নি।
উক্ত নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম ও তার সহকর্মী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার এমবিই এবং আব্দুল ওয়াহিদ। পর্যবেক্ষক হিসেবে কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের জন প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জি এস সি সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি খছরু খান এর প্রাণবন্তকর সঞ্চালনায় আহমেদ রশিদের কোরআন তেলাওয়াতের পর বি জিএম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জি এস সি ওয়েস্ট মিডলাইন সভাপতি মুহাম্মদ ফখর উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে জিএস সির বিগত দিনের হিসাব প্রকাশ করেন সেন্ট্রাল ট্রেজারার সালেহ আহমদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জিএসসি এর চ্যারিটি কোঅর্ডিনেটর মনছব আলী জেপি ও দুই বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আসহাব বেগ। অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফিরোজ খান, তৌফিক আলী মিনার ও আশরাফ আহমদ। বিভিন্ন রিজিয়নে জিএসসির বিগত দিনের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও জনসেবার প্রতিবেদন পেশ করেন বিভিন্ন রিজিয়ন নেতৃবৃন্দ।
অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন-সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আবার নতুন করে নতুন উদ্দীপনায় সকল সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানবতার কল্যাণে
ও সমাজ সেবায় জি এস সির কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে । সমালোচনা নয় আলোচনার মাধ্যমেই সকল সমস্যার সমাধান করে জিএসসির সকল কর্মীকে এক প্লাটফর্মে এসে কাজ করতে হবে।
অবশেষে রকমারি খাবার ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।