শ্রীমঙ্গল সাতগাঁও চা বাগান ব্যবস্থাপক কর্তৃক বাগানের গাছ কেটে উজাড়
সোলেমান আহমেদ মানিক, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ
শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই সাতগাঁও ইউপি'র সাতগাও চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শত শত গাছ কাটার অভিযোগ ওঠেছে।
গত কয়েক দিনের ব্যবধানে এসব গাছ কাটা হলেও বন বিভাগ জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেনা। আর বাগান কর্তৃপক্ষ বলেছে, গাছ কাটার অনুমতি না নিলেও গাছগুলো স’ মিলে চিরাই করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকেই গাছ কেটে অবৈধ ভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছে একটি কুচক্রী মহল, আর তাদের সাথে রয়েছে ব্যবস্থাপকের অসাধু যোগসূত্র।
সাতগাঁও চা বাগানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চা বাগানের বিভিন্ন সেড ট্রি কেটে ম্যানেজার বাংলোর আশেপাশে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অর্জুন, আদুরী, বেনজিয়াম, শীল কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ ও ঔষধি গাছ রয়েছে।
সাতগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাগানের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের কবলে প্রায় ৭০টি গাছ পরে যায়। ওনার অফিসে চায়ের দাওয়াত দিয়ে চা পানের পাশাপাশি চায়ের টেবিলে কথা বলবেন বলে রেখে দেন।
বন বিভাগের এসিএফ আবু বক্কর জানান, সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃক গাছ কাটার বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি জানান, চা বাগানের গাছ কাটতে বন বিভাগ ছাড়াও চা বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গঠিত কমিটি এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অনুমতি দেন। বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইফতেখার আলম জানান, শ্রমিক কলোনির ঘর নির্মাণ ও রিপিয়ারিং কাজের জন্য এসব গাছ কাটা হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় ঝড়ে এসব গাছ পরে যাওয়ায় মৃত গাছে উলু পোকা আক্রমন করে থাকে। চা গাছের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে-এমন আশংকা থেকে এসব গাছ কাটা হয়েছে। তবে গাছ কাটতে বন বিভাগের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন। গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি না থাকলেও স’ মিলে গাছ চিরাই করার জন্য অনুমতি চেয়ে বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।