সিলেটের সীমান্তে বেড়েছে 'চিনি চোরাচালান'!
প্রতিবেশী দেশ ভারতে চিনির দাম প্রায় অর্ধেক হওয়ায় সীমান্ত দিয়ে চিনি চোরাচালান গত দুই মাস ধরে বেড়েছে। জুলাই মাসে চোরাচালানের চিনি সিলেটে বেশি ঢোকায় এর দামও দেশের অন্য স্থানের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। কিন্তু আগস্ট মাসের শুরুতে চিনি চোরাচালান নিয়ে গণমাধ্যমগুলো সরব হলে সীমান্ত দিয়ে চিনি চোরাচালান কমে যায়। এর ফলে সিলেটের বাজারেও চিনির দাম এক লাফে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে গেছে।
ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা বলছেন, ভারতে একজন ভোক্তা যে চিনি কিনতে পারছেন বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে, বাংলাদেশি ভোক্তারা একই মানের চিনি কিনে খাচ্ছেন তার দ্বিগুণ অর্থাৎ ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। যার কারণে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজারসহ সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে চিনিসহ ভারতীয় পণ্য চোরাচালান হচ্ছে। এসব দেখেও না দেখার ভান করেন সীমানা পাহারায় নিয়জিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অনেক সদস্য।
এ কারণে সিলেটে জুলাই মাসজুড়ে ভারতীয় মোটা দানার চিনি খুচরা বাজারে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যদিও একই সময়ে দেশের অন্য জেলাগুলোতে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা দরে চিনি বিক্রি হয়। এমনকি ১৫০ টাকা দরে চিনি বিক্রির রেকর্ডও আছে।
এনিয়ে আগস্টের শুরুতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর কিছুদিন চোরাকারবার বন্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি আবারো সেই চিনি চোরাচালান চলছে। তবে এবার পাল্টেছে কৌশল। টানা বৃষ্টিতে ডোবানালায় পানি বাড়ায় কমেছে টহল। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারীরা। এতে আসছে চিনি, কসমেটিকস ও মাদক।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ব্যবসায়ী সূত্র বলছে, সিলেটের পাইকারি বাজার কালীঘাটেই দৈনিক প্রায় কোটি টাকার চোরাই চিনি কেনাবেচা হয়। এরপর দেশীয় নানা ব্র্যান্ডের স্টিকারযুক্ত বস্তায় ভরে এসব চিনি পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। চোরাচালানে আসা এসব চিনি স্থানীয়ভাবে ‘ভারতীয় বুঙ্গার চিনি’ নামে পরিচিত।
জেলার জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তের শতাধিক স্থান দিয়ে চোরাই পণ্য সিলেটে প্রবেশ করে। সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারিরা এই কাজে জড়িত। প্রায়ই চোরাই চিনি আটকের খবর পাওয়া গেলেও পাচারের পরিমাণের তুলনায় তা খুবই কম বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সাম্প্রতিক সময়ে চোরাচালানের চিনি পাইকারি বাজারে পৌঁছে দিতে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী সহায়তা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কথা বলায় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাতে নিজ বাসায় হামলার শিকার হন ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজন। সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার বাসভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। হামলায় আহত হয়েছেন পূজন। এনিয়ে ওই আইনজীবী আদালতে মামলাও করেছেন।
সীমান্ত এলাকার স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাদের নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া চোরাচালানের চিনি নগরের কালীঘাট বাজার পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব নয়।
জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত জেলার ছয়টি থানা থেকে ১ হাজার ৪৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব বস্তায় ৭১ হাজার ৪৯ কেজি চিনি ছিল। এসব ঘটনায় ২৩টি মামলা হয় এবং পুলিশ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে।
সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়ক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, উদ্ধারের তথ্য-উপাত্ত দেখলেই বোঝা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে ব্যাপক হারে চিনি চোরাচালান হচ্ছে। তবে চোরাচালান হয়ে আসা চিনির তুলনায় উদ্ধারের পরিমাণ কম।
ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, আগে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ‘ম্যানেজ করে’ সড়কপথে ভারতীয় চিনি কালীঘাটে নিয়ে আসা হতো। সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু বাসিন্দা ‘লাইনম্যান’ হিসেবে চিনির বস্তাপ্রতি টাকা তুলে দিতেন। ছয় মাস ধরে ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষ এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়। গোয়াইনঘাটের জাফলং-তামাবিল-জৈন্তাপুর-হরিপুর সড়ক দিয়ে ট্রাকযোগে চিনি যখন সিলেট নগরের বাইপাস এলাকায় আসে তখন ছাত্রলীগের কিছু কর্মী মোটরসাইকেলের পাহারায় এসব ট্রাক কালীঘাটে পৌঁছে দেন।
একইভাবে কোম্পানীগঞ্জ-সিলেট সড়ক দিয়ে আসা চোরাই চিনির ট্রাকগুলোকে সালুটিকর ও ধোপাগুল এলাকা থেকে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী পাহারা বসিয়ে কালীঘাটে দিয়ে আসেন। এজন্য ট্রাকপ্রতি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়।
১৩ আগস্ট সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে ছাত্রলীগের ৫৫ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রবাল চৌধুরী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা চিনি চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। বাদী ফেসবুকে চিনি চোরাকারবারি ও অছাত্র দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রতিবাদমূলক স্ট্যাটাস দেন। এর জের ধরেই তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশে গুলি করা হয়। এতে তিনি আহত হন।
মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ, সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিছবাউল করিম ওরফে রফিক, জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল আলমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা সবাই চিনি চোরাচালানে জড়িত বলে মামলার বাদী উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে নাজমুল ইসলাম, রাহেল সিরাজ ও মো. নাঈম আহমদ বলেন, ছাত্রলীগের কেউ চিনি চোরাচালানে সম্পৃক্ত নন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি পক্ষ ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এসব রটাচ্ছে। প্রবাল চৌধুরীর ওপর তারা কোনো হামলাও করেননি।
চিনি আসে যে পথে
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয়টি উপজেলার শতাধিক স্থান দিয়ে চোরাই পণ্য ঢুকছে। সবচেয়ে বেশি চিনি আসে গোয়াইনঘাটের সোনাটিলা, তামাবিল, বিছনাকান্দি, নলজুড়ি, পাদুয়া, পান্তুমাই ও সোনারহাট, জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপঞ্জি, আলুবাগান, কেন্দ্রী, ডিবির হাওর, ফুলবাড়ি, ঘিলাতৈল, টিপরাখলা, কমলাবাড়ি, গোয়াবাড়ি, হর্নি, বাইরাখেল, কালিঞ্জিবাড়ি, লালাখাল গ্রান্ট, বালিদাড়া, তুমইর ও ইয়াং রাজা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বরমসিদ্ধিপুর, উৎমা ও তুরং এবং কানাইঘাট উপজেলার ডনা সীমান্ত দিয়ে।
কালীঘাটের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ২৫-৩০টি ট্রাক আসে। একেকটি ট্রাকে গড়ে ৬৫ থেকে ৭০ বস্তা চিনি থাকে। সে হিসাবে কমবেশি ২ হাজার ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি এখানে বেচাকেনা হয়। এর বাইরে কালীঘাট ঘেঁষে থাকা সুরমা নদী দিয়েও প্রতিদিন অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ বস্তা চোরাই চিনি এখানে আনা হয়।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি বস্তা ভারতীয় চিনি ৫ হাজার ৯০০ টাকায় কেনেন। সে হিসাবে প্রতিদিন এক থেকে দেড় কোটি টাকা চোরাচালানের চিনি কেনাবেচা হয়। পরে তা বাজারদরে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন, যা আবার চলে যায় সিলেটের বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলায়।
কালীঘাট এলাকার এক চিনি ব্যবসায়ী জানান, দেশীয় ও আমদানির চিনি প্রতি ৫০ কেজির বস্তা তারা ৬ হাজার ২৪০ টাকায় কেনেন এবং তা পাইকারি দরে বিক্রি করেন ৬ হাজার ২৫০ টাকায়। অন্যদিকে চোরাচালানে আসা ভারতীয় চিনির ৫০ কেজির বস্তা কিছু ব্যবসায়ী বর্তমানে ৫ হাজার ৮৫০ টাকায় কেনেন। পাইকারি দরে তারা এসব চিনি বিক্রি করেন ৫ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকায়। সে হিসাবে বৈধ চিনিতে প্রতি বস্তায় লাভ হচ্ছে ১০ টাকা আর চোরাচালানের চিনিতে প্রতি বস্তায় লাভ হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা।
জানা গেছে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে নানা পণ্য এনে দেশের বাজারে অধিক লাভে বিক্রির লোভে সিলেট সীমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী চোরাই সিন্ডিকেট। তারা বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসৎ সদস্যদের ‘ম্যানেজ’ করে এ কারবার করেন। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে জনগণ। অবৈধভাবে আনায় এসব পণ্যের গুণগত মান যাচাই করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু দুর্মূল্যের বাজারে সুলভে পাওয়ায় চোরাই পণ্যগুলোতেই বেশি আকর্ষণ থাকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৮ আহস্ট) রাতে সীমান্তের প্রতাপপুর এলাকা থেকে ১৮ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আটক করা হয় ইসমাইল মিয়া নামের এক চোরাকারবারিকে। একইদিন সীমান্ত থেকে প্রবেশ করার সময় আম্বরখানা থেকে ১৪০ বস্তা চোরাই চিনি উদ্ধার ও দুটি পিকআপ জব্দ করে মহানগর পুলিশ। তবে এসব ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেননি তারা। এছাড়া মাঝেমধ্যেই ঢুকছে মাদক, গরু-মহিষসহ নানা চোরাই পণ্য। এর অধিকাংশই থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ব্যাপারে সিলেট নগরের মেডিকেল রোডের লিবার্টি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক মো. আলমগীর হোসেন জানান, বাজারে বর্তমানে দুই ধরনের চিনি পাওয়া যাচ্ছে। একটা বড় দানার ভারতীয় চিনি। আরেকটি ছোট দানার দেশি চিনি। এরমধ্যে ভারতীয় চিনি ১২৫ টাকা কেজি দরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোটদানার দেশি চিনি ১৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত জুলাই মাসেও ১১০ টাকা দরে ভারতীয় চিনি সিলেটের বাজারে বিক্রি হয়েছে। আগস্টে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ হলে চিনির দাম বেড়ে যায়। আগে চোরাচালানের মাধ্যমে বাজারে চিনি আসা অব্যাহত থাকায় দামও একটু কম ছিল।
সীমান্তে চোরাচালানের চিনি আসা প্রসেঙ্গ বিজিবি সিলেটের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সেলিম হাসান জানান, চিনিসহ সীমান্তে সবধরনের চোরাচালান বন্ধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। যত চিনিই আসছে সব কিন্তু আমাদের হাতে ধরা পড়ছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাস্টমসের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে, নিলাম করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে পরিমাণ চিনি সীমান্ত দিয়ে আসুক না কেন বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে আসতে পারে না। এছাড়াও টাস্কফোর্স গঠন করে আমরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে অপারেশন পরিচালনা করে বিভিন্ন গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা ভারতীয় চিনি আমরা ধরছি। প্রতিদিনই আমরা হাজার হাজার কেজি চিনি জব্দ করছি।
কর্নেল সেলিম হাসান বলেন, জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আমরা ২ লাখ ৬৭ হাজার কেজি চিনি জব্দ করেছি। প্রতিদিনই আমরা অনুমানিক ৮ থেকে ১০ হাজার কেজি চিনি জব্দ করছি। এগুলো পরে কাস্টমসের উপস্থিতিতে নিলামে বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে চোরাচালান হওয়ায় চোরাকারবারিরা বেশিরভাগ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়, এজন্য তাদের গ্রেফতার করা কঠিন হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির এই সেক্টর কমান্ডার বলেন, সীমান্ত এলাকায় বৃষ্টি ও পানি বাড়ায় অনেক সময় টহল দেওয়া যায় না। সে সুযোগে মাঝেমধ্যে কেউ অবৈধভাবে চিনিসহ ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসতে পারে। সতর্ক অবস্থায় আছে বিজিবি। চোরাচালান রোধে নানা কৌশলে হচ্ছে। যেভাবে হোক না কেন বিজিবির চোখ ফাঁকি দেওয়া কঠিন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, চিনি চোরাচালান বন্ধে পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এ ব্যাপারে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে। যখনই চিনি সীমান্ত পার হয়ে জেলায় ঢুকেছে বলে খবর পাচ্ছি তখনই অভিযান চালিয়ে সেগুলো উদ্ধার করছি। পুলিশ প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে চিনি চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কেউ এ ব্যাপারে আমাদের তথ্য দিলে আমরা চোরাচালানিদের ধরবো। এতে কোনো ছাড় নেই।
সৌজন্য - জাগোনিউজ