পোশাকখাতে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশের পোশাক খাতের ওপর কোনো ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো দেশ। কথিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি হচ্ছে মূলত সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সরকার বিরোধী জোট বিএনপি-জামায়াতের সংঘবদ্ধ অপপ্রচার।
সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখি অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে তারা পোশাক খাতের বিরুদ্ধেও নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পোশাকের ক্রয়াদেশে পোশাক না নেওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্ত করা হয়নি।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন-বিজিএমইএ গত ৮ ডিসেম্বর জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করার বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান জানিয়েছেন, ঋণপত্র বা এলসিতে শর্তের কারণে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই। সংগঠনটির সদস্য, সহকর্মী ও রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে এক বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
বিজিএমইএর সভাপতি জানিয়েছেন, ‘এলসিতে যা বলা হয়ে থাকে, তা বাণিজ্যিক শর্ত। কোনো (সরকারি কর্তৃপক্ষের) আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি নয়। বাণিজ্যবিষয়ক (নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে) কোনো অনুমোদন আছে—এমন কোনো তথ্য বিজিএমইএ বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন কিংবা কোনো দাপ্তরিক উৎস থেকে পায়নি। সুতরাং একটি প্রতিষ্ঠানের এলসি-সম্পর্কিত কোনো তথ্য বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরিমাপক হিসেবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।’
বিজিএমইএর সদস্য জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল “বিভ্রান্তিকর এলসিটি খুলেছিলেন, অন্যদিকে যিনি মূল ক্রেতা ফ্রান্সের কারিবান এর মধ্যে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল সে বিষয়ে উভয়ের কাছ থেকে বিজিএমইএ ব্যাখ্যা চেয়েছিল।
ব্যাখ্যায় তারা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দুবাই কার্যালয় এলসিটিতে একটি বক্তব্য যুক্ত করেছে। ওই ব্যাংক ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে খোলা সব এলসিতে ওই বক্তব্য যুক্ত করেছে। কিন্তু তাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল নিশ্চিত করেছে, তারা এলসিটি অপসারণ করবে। যদি প্রয়োজন হয়, তারা সেই ধারা ছাড়াই একটি নতুন এলসি ইস্যু করবে।
সব ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা ও তাদের প্রতিনিধিদের বাইরের বিষয় নিয়ে বাণিজ্যকে জটিল না করা এবং বাণিজ্যের কাগজপত্রে বিভ্রান্তি তৈরি হয় এমন অপ্রয়োজনীয় কোনো ধারা যুক্ত না করার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।