আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও
আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, রোববার, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন : রুখে দাও আগুন সন্ত্রাস’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিচারপতি (অব.) এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মানবাধিকারের যেসব বিষয় উল্লেখ করা আছে, বঙ্গবন্ধু তা আমাদের সংবিধানে উল্লেখ করে দিয়েছিল। ৭২এর সংবিধান যা আমাদের দেশের জন্য অনন্য উপহার। কিন্তু ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এই সংবিধানকে তছনছ করে দেওয়া হয়। এজন্য আজও আমরা ভুক্তভোগী।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘যারা মানবাধিকারের কথা বলে তারা ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে যখন শেখ হাসিনা ৩২ আসতে পারেনি তখন কোথায় ছিলেন? আমরা আমাদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করছি। আমরা শেখ হাসিনার সাহসিকতায় সক্ষমতা প্রমাণ করছি।’
দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যারা, যারা মানবাধিকারে কথা বলে তারাই আবার হরতাল-অবরোধ দেয়।’
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: নিজামুল হক ভূইয়া। তিনি বলেন, সময় এসেছে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার। এই সন্ত্রাসদের রুখে দিতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির এখন রুটিন দায়িত্ব হয়ে গেছে অবরোধ দেওয়া। গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি বিএনপির জামাতের তাণ্ডবে প্রায় ৪৮৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। এবার তো আর তা সম্ভব না। নিশ্চয়ই পুলিশ ও প্রশাসন এটি প্রতিহত করবে। আর আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও পরিবারের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ‘গুজব জড়িয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে বিরোধীরা। তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব হবে শক্তিশালী হয়ে গুজব প্রতিরোধ করা।’
নারী অধিকার ফোরাম বাংলাদেশ (অরফবি) সভাপতি মাহমুদা খানম মিলি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজীবন সাধারণ মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করেছেন। তিনি মানবিকতার নিশ্চিতে মানবাধিকার কমিশন গঠন করেছেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতে আগুন সন্ত্রাসে নাভিশ্বাস উঠেছে। আমরা এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠপর্যায়ে আছি। সাধারণ মানুষও এই সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে না।’
স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু গবেষক আফিজুর রহমান বলেন, মানবাধিকারের বিরোধীদের বিরুদ্ধে সব সময় রুখে দাঁড়িয়েছিল। ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘রাজপথে সরকার পতনের মতো আন্দোলনের সাংগঠনিক ক্ষমতা না থাকায় এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো হওয়ায় বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকার সামাজিক দুর্বৃত্তায়নকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ায় অতীতে দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও লাগামহীন দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। সেই সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় উন্মত্ত জোটের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের তাণ্ডবের কথা সবারই মনে আছে।’