সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা

আমাকে নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে: চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুবক্কর

আমাকে নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে: চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুবক্কর

শাল্লা প্রতিনিধি || সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাওঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুবক্কর সিদ্দিকি  দঅভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার প্রতিপক্ষ পাগল হয়ে গেছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি জানান, আমাকে ১নং আটগাওঁ ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়নের জন্য  এক নম্বরে রেখে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলা কমিটি বসে এ সিদ্বান্ত নিয়েছে। ইউনিয়ন থেকে ২২ জন নৌকা চেয়েছে। সবাইকে তো আর ১ নম্বরে রাখা সম্ভব না। জনপ্রিয়তার বিবেচনায় আমাকে একনম্বরে রেখে কেন্দ্র মনোনয়নের জন্য পাঠানো হয়েছে। এর পর থেকেই আমাকে নিয়ে এলাকায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি নাকি বিএনপি করতাম। আমার ইউনিয়নের আবুবক্কর নামে অনেকেই আছেন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রিরুধী পক্ষ আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

এদিকে আবুবক্করের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ হয়ে আটগাওঁ ইউনিয়নের জনগন  প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন,  আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিএনপি বলে যে অপপ্রচার হচ্ছে তা সম্পূর্ণ  গুজব।

এ বিষয়ে শশারকান্দা গ্রামের তোতা  মিয়ে বলেন, 'বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদের বড় ভাই আবুল কালাম উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা। নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি এমদাদুল হকের ভগ্নিপতি আব্দুল আউয়াল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং চাচাতো ভাই নজরুল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, তারা চক্রান্ত করে আবুবক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে এই নোংরা অপপ্রচারে মেতে উঠেছে।'

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের  ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সালাম বলেন, আবুবক্কর সিদ্দিক চাচা ২০১০ সাল থেকে প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাথে রাজনীতি করছেন তাহলে চৌদ্দ সালে কিভাবে তিনি বিএনপির কমিটিতে আসলে? আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলছি পারলে কেউ অন্তত একটা ছবি দেখান যে উনি বিএনপির কোন মিটিং কিংবা মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন অথবা কোন নেতাকর্মীদের সাথে।

এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, যে আবু বক্করের নাম ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আমি নয়। আমার বিরুদ্ধে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ অপপ্রচার ও গুজব ছাড়াচ্ছে। আসলে এসবের ভিত্তি নেই আমি কোন দিন বিএনপির রাজনীতে জড়িত ছিলাম না