এবার শুঁটকি নিয়ে গবেষণায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

এবার শুঁটকি নিয়ে গবেষণায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন জাতের বারোমাসি শিম, মাছের ভ্যাকসিনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সফল গবেষণার পর এবার শুঁটকি খাত নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) একদল গবেষক। মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধীনে এ গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গবেষণা দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের পাড়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে গড়ে উঠেছে বিশাল শুঁটকিপল্লি। এখানে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ও শুঁটকি শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে এ গবেষণায়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের আওয়তায় এ গবেষণা শুরু করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গবেষণা কার্যক্রমটি সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোতাহের হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এ দ্বীপ ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং তার প্রভাব কতদূর বিস্তৃত হচ্ছে তাই মূলত পর্যালোচনা করা হবে এ গবেষণায়।’

অধ্যাপক মোতাহের বলেন, ‘দুবলার চরে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে জেলেরা সাগর থেকে মাছ ধরে আনেন এবং তা শুঁটকি করেন। আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা। একই সঙ্গে দুবলার চরে উৎপাদিত শুঁটকির মান নিয়েও গবেষণার করব আমরা। জায়গাটি যেহেতু বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, সেখানে গবেষণা করা সময়, ব্যয়বহুল ও কষ্টসাপেক্ষ। আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছি। আগামীতে বড় পরিসরে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।‘

এরই মধ্যে ডিসেম্বরের ৯ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত সুন্দরবনে অবস্থান করে দুবলার চরের শুঁটকিপল্লি থেকে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও পরিদর্শন করেছেন গবেষণা দলের সদস্য মো. আরিফ বিল্লাহ ও ইফতেখার আহমেদ ফাগুন। পরিদর্শনকালে দ্বীপের শুঁটকি শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের নানা বিষয়ে আলাপ হয়।