সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে আলটিমেটাম
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও সামাবেশ করে তাঁকে এই সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
সমাবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. সিদ্দিকুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান, তুহিন হাসান, আজিজুল হক, আবু সাঈদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই জামাল উদ্দিন ভূঞা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, ছাত্রবিষয়ক পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। বিভিন্ন সময়ের উপাচার্যদের ব্যবহার করে তিনি ক্যাম্পাসে অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে একক রাজত্ব চালান। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়ে চরম দলীয়করণ, আত্মীয়করণ ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে দুর্নীতি-অনিয়ম শুরু করেন। এই নৈরাজ্যের অবসান চান তাঁরা। এ জন্য উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এখন যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, সেসব সঠিক নয়। মূলত বিএনপিপন্থী কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা দেশের চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এমনটা করছেন। তবে উপাচার্য পদে থাকার আমার কোনো ইচ্ছে নেই। কার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেব, সেটা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করছি।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে ৬ আগস্ট উপাচার্য জামাল উদ্দিন ভূঞা ১০ দিনের ছুটি নেন। এরপর ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নেন। ছুটি নেওয়ার পর গত বুধবার মধ্যরাতে উপাচার্য জামাল উদ্দিন ভূঞা জনরোষে পড়ে ‘পালিয়েছেন’ বলেও ক্যাম্পাসে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যদিও উপাচার্য তখন পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।